ফ্রান্স সফররত নরেন্দ্র মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ ‘লেজিয়ঁ দ্য নর’ দিল ফরাসি সরকার

ফ্রান্স সফররত নরেন্দ্র মোদীকে সে দেশের সর্বোচ্চ ‘লেজিয়ঁ দ্য নর’ দিল ফরাসি সরকার

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দু’দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই ফ্রান্সে গিয়েছেন। মোদীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নে। শুক্রবার ১৪ জুলাই তিনি সেখানে বাস্তিল উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসাবে যোগ দেন। তার আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ফ্রান্স-এর সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘লেজিয়ঁ দ্য নর’ প্রদান করেছেন।

বেসামরিক সম্মান হলেও সামরিক-অসামরিক দুই ক্ষেত্রেই বিশেষ কৃতিত্বের জন্য এই পুরস্কার দিয়ে থাকে ফরাসি সরকার। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে এই সম্মান দেওয়া হল তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন এবং জনসেবার কারণে। সম্মান প্রদানের প্রতীক হিসাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে 'গ্র্যান্ড ক্রশ' পরিয়ে দেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

এর আগে চলচ্চিত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ভারতের তথা বিশ্বের প্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায় ও অনন্য চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে এই সম্মান দিয়েছে ফরাসি সরকার। ১৮০২ সাল থেকে ফরাসি সরকার এই সম্মান প্রদান করে আসছে, যার সূচনা করেছিলেন সম্রাট নেপোলিয়ন।

রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে অতীতে এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, কিং চার্লস, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, জার্মানির প্রাক্তন চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল প্রমুখ।

এই ফরাসি সম্মানটি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ঝুলিতে যুক্ত হল ১৪টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর এবারের ফ্রান্স সফরের মূল বিষয় দু-দেশের সম্পর্কের ২৫ বছর উদযাপন। তবে দু’দিনের সফরে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে প্রতিরক্ষা। ফ্রান্সের কাছ থেকে ২৬টি মেরিন রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনা নিয়ে প্রাথমিক নথিপত্র স্বাক্ষরিত হতে পারে। আগেই ৬০ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ভারত ৩৯টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কিনেছে। সেই বিমান চুক্তি নিয়ে দেশে কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা মোদী সরকারের সমালোচনা করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিমান কেনার বিনিময়ে অনিল আম্বানির সংস্থার সঙ্গে ফ্রান্স-এর বিশেষ বোঝাপড়া হয়েছে ভারতে বিমান তৈরি করার বিষয়ে।

প্রধানমন্ত্রীর গত মাসের যুক্তরাষ্ট্রের সফরেও গুরুত্ব পেয়েছিল প্রতিরক্ষা। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভারত মহাসাগরকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত ভারত। তাই প্রতিরক্ষার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দিয়েছেন।