সমগ্র উত্তর ভারত বাঁধভাঙা বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত। একটানা ভারী বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে পথঘাট, ভেসে গিয়েছে ঘরবাড়ি। ভূমিধসে পাহাড়ি এলাকা পুরোপুরি বিপর্যস্ত। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হিমাচল প্রদেশে। সরকারি তথ্য বলছে, অন্তত ৯০ জন মারা গেছেন এই রাজ্যে।
সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, প্রবল বৃষ্টিতে বানভাসি হিমাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ায় বিচ্ছিন্ন বহু জেলা। নেই বিদ্যুৎ, জল, ইন্টারনেট পরিষেবা। বিভিন্ন জেলার ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে অসংখ্য পর্যটক আটকে পড়েছেন। শনিবার থেকে স্পিতি উপত্যকার চন্দ্রতালের কাছে আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারের সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। হেলিকপ্টারে করে ওই অঞ্চল পরিদর্শন করছেন সরকারি আধিকারিকরা।
হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু জানিয়েছেন, বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত হিমাচলে আটকে থাকা প্রায় ৫০ হাজার পর্যটককে উদ্ধার করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, “ভারী তুষারপাত এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করার জন্য আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
হিমাচলের পাশাপাশি দুর্যোগ চলছে উত্তরাখণ্ডেও।বৃহস্পতিবার ১৩ জুলাই এবং শুক্রবার ১৪ জুলাই উত্তরাখণ্ডের ধনৌরি, রুদ্রপ্রয়াগ এবং খানপুরে বৃষ্টিপাতের হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। আগামী শনিবার ১৫ জুলাই এবং রবিবার ১৬ জুলাই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে রুরকি, লাকসার এবং ভগবানপুরে। দেরাদুন এবং হরিদ্বারও বৃষ্টিতে ভাসছে। একাধিক ভূমিধসের কারণে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক-সহ বেশ কিছু রাস্তা বন্ধ। পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা এই পরিস্থিতিতে চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন।