ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের (ইডি) পদ থেকে সঞ্জয়কুমার মিশ্রকে সরিয়ে দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে নতুন ইডি অধিকর্তা বেছে নিতে হবে। শুধুমাত্র ততদিনই ইডি-র ডিরেক্টর থাকতে পারবেন সঞ্জয়।
শীর্ষ আদালতের এই রায় কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহল।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সহ একাধিক বিরোধী নেতা ও দল সঞ্জয়কুমার মিশ্রের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল একজন অফিসারকে তিনবার পুনর্নিয়োগ দেওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাছাড়া বিরোধী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি-ই সবচেয়ে সক্রিয়।
মঙ্গলবার ১১ জুলাই সর্বোচ্চ আদালত মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়ার রায় দিয়েছে আদালত অবমাননার কারণে। দ্বিতীয়বার এই অফিসারের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির পরই একটি মামলায় শীর্ষ আদালত বলেছিল, এটা বেআইনি। আদালত প্রশ্ন তোলে, "দেশে কি দ্বিতীয় কোনও অফিসার নেই যিনি ইডির অধিকর্তা হতে পারেন? দ্বিতীয় কাউকে সুযোগ না দিয়ে একজন অফিসারকে কেন অধিকর্তা পদে রেখে দেওয়া হয়েছে?"
প্রসঙ্গত, ইডি, সিবিআই-এর অধিকর্তার পদে কাকে নিয়োগ করা হবে তা ঠিক করেন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কমিটি। মোদী তিনবার এই অফিসারকে পুনর্নিয়োগ করেছেন।
সরকারের ব্যাখ্যা, ফিন্যান্সিয়্যাল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স নামে আন্তর্জাতিক এজেন্সি বিভিন্ন দেশের তদন্তকারী এজেন্সিগুলির কাজকর্ম পর্যালোচনা করে থাকে। বিগত কয়েক বছর ধরে ইডির কাজকর্ম পর্যালোচনা করছে ওই সংস্থা। এই সময় সংস্থার শীর্ষ কর্তা বদল করা হলে ইডি-র ক্ষতি হবে।
কিন্তু শীর্ষ আদালত এই যুক্তি মানতে চায়নি। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার মাঝে অ্যাটর্নি জেনারেল আর্জি জানান, অন্তত ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত মিশ্রকে পদে থাকতে দেওয়া হোক। কিন্তু আদালত তা মানেনি। সুপ্রিম কোর্ট বলে, ৩১ জুলাইয়েই সরে যেতে হবে মিশ্রকে। নতুন অধিকর্তা বেছে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় আছে।