বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কারও সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
বুধবার (১২ জুলাই) পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিএনএস শের-ই-বাংলার নবনির্মিত ঘাঁটি, ৪টি জাহাজ ও ৪টি এলসিইউর (ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি) কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি বলেন, সরকার নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে, ফলে তারা আন্তর্জাতিক স্তরের যোগ্যতা ও মান অর্জনের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে উঠেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাই না। তবে আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত রাখার ওপর আমাদের গুরুত্ব থাকবে”।
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে; যাতে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এই উদ্দেশ্যে আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছি”।
শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করতে হেলিকপ্টার ছাড়াও বেশ কিছু যুদ্ধজাহাজের সরঞ্জাম সংগ্রহ ও নির্মাণের কাজ চলছে।
কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বিএনএস শের-ই-বাংলার বেস কমান্ডার এবং ৪টি জাহাজের কমান্ডার এবং ৪১ পিসিএসের ৪টি এলসিইউর কাছে কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল স্বাগত বক্তব্য দেন। এ ছাড়া, অনুষ্ঠানের শুরুতে নৌঘাঁটি শের-ই-বাংলা এবং ৪টি জাহাজ ও ৪টি এলসিইউর ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।