ভারতের গুজরাতে সাড়ে ১৯ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাকটর প্রোজেক্ট থেকে সরল ফক্সকন

তাইওয়ানের ফক্সকন টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান গৌ, গুইয়াংয়ের একটি কোম্পানির ডেটা সেন্টারে ফক্সকনের ডেটা সার্ভার পরিদর্শন করছেন। (ফাইল ছবি)

ভারতের পশ্চিমে গুজরাতের আমদাবাদে বেদান্তা ও তাইওয়ানের সংস্থা ফক্সকনের যৌথ উদ্যোগে সেমিকন্ডাকটর প্রস্তুত কেন্দ্র গড়ে ওঠার কথা ছিল। সেই প্রোজেক্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদক সংস্থা।

ভারতে সেমিকন্ডাকটর চিপ বানানোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে বড় স্বপ্ন দেখাতে চেয়েছিলেন, তা এতে বড় ধাক্কা খেল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

ফক্সকন-এর এই ঘোষণার পর কেন্দ্রে মোদী সরকার অবশ্য দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, "এটাকে ধাক্কা বলে দেখা ভুল হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের স্বপ্ন অনেক বড়। ফক্সকনের সিদ্ধান্তে তা থমকে যাবে না।"

আসলে ফক্সকন-এর বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। আগে মহারাষ্ট্রের পুণেতে এই কারখানা গড়ে ওঠার কথা ছিল। গত বছর গুজরাত নির্বাচনের ঠিক আগে হঠাৎ করে বেদান্তা জানায় যে প্রকল্প মহারাষ্ট্র থেকে সরছে। তা গড়ে উঠবে আমদাবাদে। মহারাষ্ট্রের মহাজোটের নেতারা তখনই বলতে শুরু করেছিলেন যে বিজেপি প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্প গুজরাতে সরিয়ে নিয়ে গেল।

ফক্সকন-এর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস-ও। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, "এরকম কত না মউ সই হয়েছে ভাইব্রান্ট গুজরাত সম্মেলনে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এই প্রকল্পে না কি ১ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে।"

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তো বটেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও ফক্সকন-এর এই সিদ্ধান্তের খবর বড় করে প্রকাশিত হচ্ছে। যা সম্ভবত উদ্বেগ বাড়াচ্ছে নয়া দিল্লির অর্থাৎ কেন্দ্র সরকারের।

অন্যদিকে, বেদান্তা দাবি করেছে, তারা নতুন বিনিয়োগকারী খুঁজে আনবে। এ ব্যাপারে অনেকেই প্রস্তাব দিচ্ছে। তবে পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, বেদান্তার সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে পারদর্শীতা নেই। যে সব সংস্থার বিনিয়োগের কথা বলা হচ্ছে তাদেরও ফক্সকন-এর মতো অভিজ্ঞতা ও পারদর্শিতা নেই।