কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাজা মকুব হয়নি, তাঁর সংসদীয় আসনে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা এখনও

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। (ফাইল ছবি)

ভারতের গুজরাট হাইকোর্টও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। নিয়মমতো তাঁর এবার গুজরাট হাইকোর্টেরই ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার কথা। যদিও কংগ্রেস নেতৃত্ব সময় বাঁচাতে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার ভাবনাচিন্তা করছে। যদিও সর্বোচ্চ আদালত আর্জি ফিরিয়ে দিয়ে গুজরাত হাইকোর্টেই রাহুল গান্ধীকে আর্জি জানাতে বলতে পারে। তবু ঝুঁকি নিয়ে কংগ্রেস সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে।

গত ২৩ মার্চ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর কেরলের ওয়ানাড সংসদীয় আসন ফাঁকা পড়ে আছে। নিয়ম মতো কোনও আসন শূন্য হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে সেখানে উপনির্বাচন করাতে হয়। চলতি বছরে আরও একজন সাংসদ এবং একজন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়। লাক্ষ্মাদ্বীপের এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফৈজল এবং উত্তরপ্রদেশের আদমগড়ের সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আজম খানের বিধায়ক পদ খুনের মামলার জেরে খারিজ হয়ে যায়। ফয়জল হাইকোর্টে সুবিচার না পেয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। সর্বোচ্চ আদালত তাঁর সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি করলে তাঁর আসনে উপনির্বাচন ঘোষণা করেও তা মাঝপথে স্থগিত করতে বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন। ফৈজল ফের সংসদ সদস্যপদ ফিরে পেয়েছেন।

অন্যদিকে, আজমগড়ে উপনির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর জেলা উচ্চ আদালত আজম খানকে নির্দোষ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও তিনি বিধায়ক পদ হারিয়েছেন।

লাক্ষ্মীদ্বীপ ও আজমগড়ের দৃষ্টান্ত মাথায় রেখেই রাহুলের ওয়ানাডের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন এখনও উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেনি।

কিন্তু ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেখানে ভোট করাতেই হবে। ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে তার অন্তত ৪৫দিন আগে। ফলে রাহুলকে চলতি সংসদে ফিরতে হলে আর এক মাসের মধ্য আইনি লড়াইয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। এক মাসের মধ্যে আদালত সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি না করলে তাঁর সংসদে ফেরা হবে না। উপনির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না।

ভারতে ইতিমধ্যে আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। সাজার উপর স্থগিতাদেশ জারি না হলে রাহুল ২০২৪-এ লোকসভার সাধারণ নির্বাচনেও প্রার্থী হতে পারবেন না। মোদী পদবিধারীদের মানহানির মামলায় তাঁর দু’ বছর কারাবাসের সাজা হয়েছে। সাজার বিধান হল কারাবাসের পর আরও ছয় বছর ভোটে প্রার্থী হতে পারেবন না রাহুল গান্ধী।