ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন শেখ হাসিনা

কেপটাউনে ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে, চীনের ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওসু, ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা, দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি পান্দর, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। ১ জুন, ২০২৩।

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। স্বাগতিক দেশের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেলেও, শেখ হাসিনা এই সম্মেলনে যোগ দেবেন কি-না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রবিবার (৯ জুলাই) পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ফারুক খান আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চলতি বছরের ২২ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫তম ব্রিকস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এতে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জোহানেসবার্গ, গৌতেং-এর স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে এ শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে।

ব্রিকস বিজনেস ফোরাম চলাকালে, নেতারা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যুক্ত হবেন। এছাড়া, শীর্ষ সম্মেলনের সময় নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ব্রিকস বিজনেস কাউন্সিল এবং অন্যান্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হবেন তারা। ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে, একটি ব্রিকস আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছিলেন, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা; এই পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রের গ্রুপে যোগ দিতে ব্রিকসের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।

তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, “তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানালে আমরা অবশ্যই যোগ দেবো। আমরা এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি (আমাদের যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে)। ব্রিকস নেতারা কিছু উদীয়মান অর্থনীতিকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভাবছেন। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ-সহ আটটি নতুন দেশ সেখানে আমন্ত্রণ পেতে পারে।”