ভারতে কলকাতায় দেশের শতবর্ষ প্রাচীন মোহনবাগান ক্লাবে মঙ্গলবার বিকেলে পেলে-মারাদোনা-গ্যারি সোবার্স নামাঙ্কিত গেটের উদ্বোধন করেন ফুটবল বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজ।
এদিন মোহনবাগান ক্লাবের সংগ্রহশালাও ঘুরে দেখেন। নিজে গ্রন্থাগারের রেজিস্টারে সইও করেছেন। কয়েকজন সদস্যর হাতে নতুন সদস্যপদও তুলে দেন তিনি।
গলফ কার্টে মোহনবাগান মাঠ ঘুরেছেন মেসির এই প্রিয় সতীর্থ। মঞ্চে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় মোহনবাগান ক্লাব এবং কলকাতা পুলিশের তরফে। ক্লাবের তরফে দেওয়া হয়েছে মোহনবাগানের সোনার রত্নের আদলে একটি পদক।
মার্টিনেজ জানিয়ে দিয়েছেন, কলকাতায় এসে তাঁর এতটাই ভাল লেগেছে, তিনি পরেরবার মেসিকে সঙ্গে করে নিয়ে আসবেন। এই কথা শুনে সারা মাঠ করতালি দিয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, মেসিকে নিয়ে এসে আর্জেন্টিনা জার্সি পরে কলকাতা মাঠে ফুটবলও খেলবেন, তাও বলে গিয়েছেন তিনি।
কাতারে লিওনেল মেসির হাতে কাপ দিতে পেরে ধন্য দলের গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এর আগেও তিনি বলেছিলেন, মেসিই আমাদের দলের লিডার। তাই অধরা কাপ দিতে পেরে তাঁরও ভাল লাগছে।
এদিন অনুষ্ঠানে সঞ্চালক তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, পেনাল্টিতে মেসির শট তিনি কোনওদিন বাঁচিয়েছেন কিনা। তার জবাবে দীর্ঘদেহী মার্টিনেজ বলেছেন, "আমি লিও-র শট বাঁচিয়েছি, কিন্তু তার চেয়েও বেশি গোল হজম করেছি। ওঁর শট বাঁচানো সহজ কথা নয়।"
মেসি কী পরের বিশ্বকাপে খেলবেন, সেই নিয়ে সরাসরি জবাব না দিলেও এমি মনে করছেন, লিওকে ছাড়াও বিশ্বকাপ জয় সম্ভব। তিনি বলেন, "আমি জানি না কী করবে লিও, তবে ওঁকে ছাড়াও আমরা বিশ্বসেরা হতেই পারি। কারণ আর্জেন্টিনা দলটাই হল গ্রুপ অব টাইগার্স।" এমির বিশ্বাস, তারা সামনের কোপা ও বিশ্বকাপ দুটিতেই চ্যাম্পিয়ন হবেন।
প্রথমে বাইপাসের ধারে দিয়েগো মারাদোনার বিশাল মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মার্টিনেজ। ৫ জুলাই, ২০২৩।
গত দু’দিন আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী গোলরক্ষক দেখেছেন, তাঁকে নিয়ে কলকাতার মানুষের উচ্ছাস। বুধবার তিনি সকালে চলে গিয়েছিলেন কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে। হুড খোলা জিপে তাঁর পাশে ছিলেন ক্লাবের কর্ণধার তথা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী মন্ত্রী সুজিত বসু।
বিশ্বকাপের পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সেইসময় পাশে ছিলেন কাতারের যুবরাজ। সেখানে যেভাবে সেলিব্রেশন করেছিলেন সেই বিতর্কিত সেলিব্রেশন তিনি ফিরিয়ে আনেন কলকাতার এই ক্লাবের অনুষ্ঠানে।
প্রথমে বাইপাসের ধারে দিয়েগো মারাদোনার বিশাল মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারপর ক্লাবের অনুষ্ঠানে বহুক্ষণ ছিলেন। হুডখোলা জিপে যাওয়ার সময় তিনি অটোগ্রাফও দিয়েছেন মানুষদের। সারাক্ষণ রাস্তায় অনুরাগীরা হর্ষধ্বনি দিচ্ছিলেন, 'ডিবু, ডিবু'।
শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে বাঁধা মঞ্চে যখন মন্ত্রী সুজিত বসু তাঁর হাতে তুলে দেন ‘গোল্ডেন গ্লাভস’ রেপ্লিকা উপহার তখন তা হাতে নিয়ে সেই বিতর্কিত ভঙ্গিতে পোজ দিলেন মার্টিনেজ ক্যামেরার সামনে।