যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে আগমন দুই দেশের ঘনিষ্ঠতর সম্পর্কের বার্তাবাহী—তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে আগমন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার বার্তাই বহন করে। “এই আগমনকে আমরা স্বাগত জানাই”।

বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা (বাংলাদেশে) এসেছেন এবং সহসাই আরও বেশ কয়েকজন আসবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। তাদের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তাসংক্রান্ত সহযোগিতা রয়েছে এবং বিশ্ব অঙ্গনেও বহুমাত্রিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা কাজ করি। বাংলাদেশের উন্নয়নেও যুক্তরাষ্ট্র বিরাট ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের বলেছেন, “কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়”—এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “দেশের মালিক জনগণ। রাষ্ট্র ক্ষমতায় কারা যাবে সেটি নির্ধারণ করার মালিক হচ্ছে জনগণ। বিএনপির যদি কোনো নালিশ থাকে তা দিতে হবে জনগণের কাছে, বিদেশিদের কাছে নয়”।

হাছান মাহমুদ জার্মানি, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে এবং যুক্তরাজ্যে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেখানে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারাই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে আমাদের দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে উল্লেখ করে বলেন, নালিশ তারা করতে পারে কিন্তু আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব নালিশ জনগণের কাছে করার জন্য, বিদেশিদের হাতে-পায়ে না ধরার জন্য।

বিএনপির সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে শুরু হবে এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে নিহত হয়েছিলেন অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। চট্টগ্রাম খুব তাৎপর্যপূর্ণ। তারা তো মাঝে মধ্যেই এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা দেন। তো এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রামেই মারা যায় কি না, সেটিই দেখার বিষয়।

ভূ-রাজনীতির কোনো চাপ সরকারের ওপরে আছে কি না এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো চাপে নাই। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বিএনপি আন্দোলনের নামে যে সহিংসতা করেছে, সেটি আমরা সামাল দিয়েছি। সেটি করার সামর্থ্য বিএনপির এখন নাই এবং ভূ-রাজনীতির কারণে আর এ ধরনের আন্দোলন করা তাদের পক্ষে সম্ভবপর নয়। আমরা জানি কখন কী করতে হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলো বর্জন করেছিল এবং তাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকসহ জনগণকেও বর্জন করার, ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তাদের এত প্রচারণার মধ্যেও ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। সুতরাং আগামী নির্বাচনেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে।

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, গণতন্ত্রের মূল বিষয় জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে কি না। বিএনপির অংশগ্রহণ আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে তারা যদি নাও আসে, আগামী নির্বাচনে জনগণ থাকবে।