মঙ্গলবার প্রতিকেজি খোলা সেমাই বিক্রি হয় ১২০-১৩০ টাকায়। অথচ, দুদিন আগে একই সেমাই বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। লাচ্ছা সেমাই প্রতিকেজি ১২৫-১৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও, দুদিন আগে এই দাম ছিলো ১১০ থেকে ১২০ টাকা। আর, ২০০ গ্রামের প্যাকেট লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হয় ৫০ টাকায়,যা আগের তুলনায় বেশি।
ঢাকার বাজারে চিনির দামও ঊর্ধ্বমুখী। খোলা চিনি বিক্রি হয় প্রতিকেজি ১৪০-১৫০ টাকায়। অনেক ভোক্তা কেনাকাটা করতে বাজারে আসের বৃষ্টি মাথায় করে। হঠাৎ, প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তারা।
আব্দুল আলিম নামে একজন ভোক্তা বলেন, “আমি বিস্মিত হয়েছি যে বেশিরভাগ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।” রাজধানীর মালিবাগ বাজারের হাজী ফারুক জেনারেল স্টোর পরিচালনা করেন ফারুক হাসান। তিনি বলেন, “সবকিছুর দাম বেশি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।”
ফারুক আরো বলেন, “আমি ১৬০ টাকা কেজি দরে পোলাও চাল বিক্রি করছি। চাইলে কিনতে পারেন; আমি কাউকে জোর করছি না। আমি লস নয়, লাভ করতে এসেছি।” একই বাজারে বরিশাল জেনারেল স্টোরের ব্যবসায়ী শাহিন হাওলাদার জানান, তিনি খোলা চিনি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি এবং ভালো মানের চিনি ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন।
এদিকে, রাজধানীতে এখনো ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সোনালী জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। দেশি মুরগির কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা।
বাজারদর নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। চিনি বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। আর, গুঁড়ো দুধ বিক্রি হয় ৮৩০ থেকে ৮৪০ টাকা কেজি দরে।