টেকসই শান্তির জন্য লিঙ্গ সমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতি মূলক সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। ২৫ জুন, ২০২৩।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, “লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল শান্তিরক্ষী যাতে নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশে কাজ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কার্যকর কৌশল অনুসন্ধানে আগ্রহী।” রবিবার (২৫ জুন) জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মন্ত্রী পর্যায়ের প্রস্তুতি মূলক সভার উদ্বোধনী অধিবেশনে এ কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব।তিনি বলেন, “টেকসই শান্তির জন্য লিঙ্গ সমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (ইউএসজি) জিন পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স এবং ম্যানেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি, পলিসি অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ক্যাথরিন পোলার্ড এই সভায় অংশ নেন।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “আমাদের শান্তিরক্ষা মিশনে বৈষম্য ও যৌন নির্যাতনের কোনো স্থান নেই এবং আমাদের অবশ্যই সম্মিলিতভাবে এ ধরনের ঘটনা নির্মূল করার চেষ্টা করতে হবে।” তিনি বলেন, “আজ এখানে সম্মিলিত উপস্থিতি শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টা জোরদার করার বিষয়ে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রমাণ।”

তিনি বলেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই প্রস্তুতিমূলক বৈঠক আসন্ন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের জন্য মঞ্চ তৈরি করবে।” কিছু মিশনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে সদস্য দেশগুলোর উদীয়মান উদ্বেগকে বিবেচনায় নিতে হবে বলে উল্লেখ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “আলোচনা থেকে উদ্ভূত প্রতিশ্রুতি ও সুপারিশ শান্তিরক্ষার ভবিষ্যতকে গঠনমূলক রূপ দেবে; সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রকে অনুপ্রাণিত করবে এবং তাদের আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক, লিঙ্গ-সংবেদনশীল ও কার্যকর শান্তিরক্ষা কাঠামোর দিকে পরিচালিত করবে।”

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “আসুন আমরা আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়সঙ্গত শান্তিরক্ষা পরিবেশ তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করি; যেখানে নারীদের কণ্ঠস্বর ও অবদান স্বীকৃত হয় এবং মূল্যায়ন ও উদযাপিত হয়।” তিনি বলেন, “প্রস্তুতিমূলক সভার প্রতিপাদ্য 'জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী', যা বাংলাদেশের মূল্যবোধ ও নীতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত।”

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য ও পুলিশ প্রেরণকারী শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে, বাংলাদেশ শান্তি, নিরাপত্তা ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের নীতি ও উদ্দেশ্যের প্রতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা বিশ্বাস করি, টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “আমরা আলোচনা করবো, কীভাবে শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারি এবং আমাদের মিশনের সকল ভূমিকায় তাদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পারি।”

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অন্যান্য প্রতিনিধির সঙ্গে গাজীপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) পরিদর্শন করবেন ল্যাক্রোইক্স।