বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের আস্থা থাকায় আওয়ামী লীগের কোনো নির্বাচনে জেতার জন্য ভোট চুরির প্রয়োজন নেই। “বরং আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে, দেশবাসীর আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে জনগণের ভোট পায়”।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যখনই তাঁর দল কোনো নির্বাচনে হেরেছে, তখনই তা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, “ভোট ডাকাতির মাধ্যমে (ষড়যন্ত্রকারীরা) আওয়ামী লীগকে তার প্রকৃত ভোট বা আসন পেতে বঞ্চিত করেছে অথবা আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার চেষ্টা করেছে। … দেশের মানুষ যখনই অবাধে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, তখনই তারা আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে”।
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিএনপির (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, “তারা মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল এবং একটি উপ-নির্বাচন থেকে আরেকটি আসন পেয়েছিল, অর্থাৎ মোট ৩০টি আসন। সবাইকে মনে রাখতে হবে, জনগণ সন্ত্রাসী দল বিএনপিকে ভোট দেয়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, হতাশাজনক ফলাফলের কারণে বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে।