দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে, স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত করতে আট উইকেটের প্রয়োজন ছিলো। আর, অবশিষ্ট দুই দিনে ৬০০-র বেশি রান করার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান।
আফগানিস্তান পিছিয়ে পড়তে থাকায়, বাংলাদেশ ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয়। গত শতাব্দীর ১৯৩৪ সালের পর, টেস্ট ইতিহাসে এটি একটি রেকর্ড ভাঙা জয়। সেই বছর অস্ট্রেলিয়া ওভালে ইংল্যান্ডকে ৫৬২ রানে পরাজিত করেছিলো। ফলে, এই শতাব্দীতে রানের দিক থেকে এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় জয়।
আট উইকেট হাতে রেখে দিন শুরু করলেও, সকালের সেশনেই সবকটি হারায় আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের পক্ষে রহমত শাহ সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন। অন্য কোনো আফগান ব্যাটার ২০ রান স্পর্শ করতে পারেনি।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ ৩৭ রান দিয়ে ৪টি এবং শরীফুল ইসলাম ৩টি উইকেট নেন। নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি ও মাহমুদুল হাসান জয়ের হাফ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩৮২ রান তোলে বাংলাদেশ।
অভিষেক ম্যাচে নিজাত মাসুদ আফগানিস্তানের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন। দ্বিতীয় আফগান বোলার হিসেবে টেস্ট অভিষেকে পাঁচ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
এমন প্রেক্ষাপটে, আফগানিস্তান ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় এবং পেসারদের অনুকূলে থাকা পিচে ইবাদত হোসেন বাংলাদেশের পক্ষে চারটি উইকেট নেন। ফলস্বরূপ, প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানে লিড পায় বাংলাদেশ।
শান্ত দ্বিতীয় ইনিংসে তার শক্তিশালী পারফরম্যান্স অব্যাহত রেখে আরো একটি সেঞ্চুরি করেন। মুমিনুল হকের পর, দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়লেন তিনি।বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেটে ৪২৫ রান করে এবং আফগানিস্তানকে ৬৬১ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয়।
এই কঠিন লড়াইয়ে আফগান ব্যাটাররা যথাযথ মনোবলের সঙ্গে তাদের ব্যাটিংয়ের দিকে এগিয়ে যেতে ব্যর্থ হন এবং তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে দুটি উইকেট হারায়। আফগানিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলে ইব্রাহিম জাদরান-কে গোল্ডেন ডাক-এ আউট করেন শরীফুল ইসলাম। পরের ওভারে আব্দুল মালিকের উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে আগামী জুলাইয়ে বাংলাদেশে আসবে আফগানিস্তান।