পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফরে জলবায়ু পরিবর্তনের এজেন্ডায় সম্পৃক্ত হওয়া এবং সবুজ প্রবৃদ্ধি ও বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক, দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন কর্মসূচি ২০২৩-২০২৮ বাস্তবায়নের জন্য ৩০ কোটি ডেনিশ ক্রোন বা প্রায় ৪৭৪ কোটি টাকার অনুদানভিত্তিক ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি সই করেছে।
ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির কৌশলগত লক্ষ্য হলো; নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের শক্তিশালীকরণ, তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং লিঙ্গ সমতার উন্নয়ন; বিষয়গুলো বাংলাদেশের নীতিতে অগ্রাধিকারা পাবে।
ডেনমার্ক সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ৫০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এই দীর্ঘ সময়ে ডেনমার্ক কৃষি, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, পরিবহন খাত, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার ও সুশাসন কর্মসূচির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে।”
বাংলাদেশ-ডেনমার্ক কর্মপরিকল্পনা উদ্বোধন
এদিকে, বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং ডেনমার্কের উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈশ্বিক জলবায়ু নীতি বিষয়ক মন্ত্রী ড্যান জার্গেনসেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মঙ্গলবার ‘সাসটেইনেবল অ্যান্ড গ্রিন ফ্রেমওয়ার্ক এনগেজমেন্ট’ বিষয়ে বাংলাদেশ-ডেনমার্ক যৌথ কর্মপরিকল্পনার উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রুপ পিটারসেন এ সময় উপন্থিত ছিলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, গত ৯ জুন কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সই হওয়া যৌথ কর্মপরিকল্পনায় ডেনমার্ক বাংলাদেশকে নিম্ন কার্বন নির্গমন, সম্পদ-দক্ষ অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করবে।
শাহাব উদ্দিন বলেন যে এই চুক্তি অনুসারে, টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন ও প্রশমন, পরিবেশগত ক্ষতি এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতিতে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, একটি টেকসই এবং সবুজ ভবিষ্যত অর্জনের লক্ষ্যে দুই দেশ কাজ করবে।