বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, এখন ‘লাইভ’ ইস্যু। শনিবার (১০ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির সাবেক এমপি এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বাংলাদেশকে এই সরকার চরম ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যে কারণে আমরা বার বার করে বলছি যে, এই সরকারের এখন থাকার আর কোনো কারণ নেই। তারপরও নেতা-মন্ত্রীরা বলেন যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকি এখন ডেড ইস্যু।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “ এটা ডেড ইস্যু হবে কেন? এটাই তো এখন সবচেয়ে লাইভ ইস্যু। কারণ আমরা মনে করি যে, এই সরকারের এই মুহুর্তে পদত্যাগ করা উচিত “
তিনি বলেন, “আমরা বলেছি যে, একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা একটা নিরপেক্ষ সরকার এবং নির্দলীয় সরকারকে দায়িত্ব দিতে হবে। ভোট দেয়ার ব্যবস্থা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে তারা পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “গত ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা আমাদেরকে ডেকেছিলেন সংলাপের জন্য। আমরা গিয়েছিলাম এ জন্য যে, আমরা মনে করেছিলাম, আলোচনার মাধ্যমে যদি একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়, যদি একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারি, তাহলে হয়তো জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারবো। ওদের বিশ্বাস করা যায় না।”
মির্জা ফখরুলের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না: ওবায়দুল কাদের
ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
এদিকে, ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মির্জা ফখরুলের কথায় জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানিয়েছেন। শনিবার (১০ জুন) বিকালে রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ে, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ আহবান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা তাদের (বিএনপি) ডাকছি না। শেখ হাসিনা যদি পদত্যাগ করেন, সংসদ ভেঙে দিলে, তারা কার সঙ্গে বসবে? সরকার পদত্যাগ করলে কি বাতাসের সঙ্গে আলোচনা হবে? মির্জা ফখরুল অগ্রহণযোগ্য কথা বলছেন।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাইলে; তত্ত্বাবধায়ক সরকার, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দিতে হবে এসব বিএনপির মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।” তিনি আরো বলেন, “জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে বিএনপি, অর্থাৎ গোষ্ঠীটি অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”