ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সরকারের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার (৭ জুন) বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে দল এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমাদের দেশে আমরা আমাদের নিজেদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব। প্রয়োজনে আমরা নিজেরাই সমাধান করব। দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই যাতে জাতিসংঘের মধ্যস্থতা বা হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়”।
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যেকোনো সংকটের সমাধান সংবিধান। “সংবিধান যদি কোনো দেশে সমাধান দিতে না পারে, তাহলে সে দেশে গণতন্ত্র থাকবে কী করে?”
এর আগে মঙ্গলবার (৬ জুন) আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু নির্বাচনী সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যত্রের প্রতিবাদে ১৪ দলের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, “সংলাপ ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে সংকট সমাধান করা সম্ভব নয়। আর যদি তারা (বিএনপি) অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ প্রতিরোধ করবে”।
তিনি এমনকি ২০১৩ সালে ফার্নান্দেজ তারানকোর প্রচেষ্টার মতো জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় আলোচনার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেছিলেন।
আমির হোসেন আমু বলেছিলেন, “বিএনপির সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংলাপের দরজা সব সময় খোলা। প্রয়োজনে জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে”।
এদিকে, আসন্ন নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু আচরণের প্রচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য একটি ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশের বহুমুখী তৎপরতা দৃশ্যমান।