ভারতের শ্রীনগরে জি-২০’র সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না চীন

ভারতের নয়াদিল্লিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জি-২০ লোগোটি উন্মোচন করা হয়। ১ ডিসেম্বর ২০২২ (ছবি- মানি শর্মা / এএফপি)

ভারতের শ্রীনগরে সোমবার ২২ মে থেকে তিনদিনের জন্য অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির পর্যটন বিষয়ক ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। জি-২০ সদস্য দেশ চীন শ্রীনগরের সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে না। তারা এর আগে অরুণাচলপ্রদেশে আয়োজিত বৈঠকেও অংশ নেয়নি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, তিন দিনের এই বিশেষ সম্মেলন শ্রীনগরে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা ভারতের কাছে মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ। বিদেশি অতিথিদের বৈঠকের পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা। উদ্যোগের উপরে নজর রেখেছে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। আবার বিগত কয়েকদিনে জঙ্গি দমনে সফলও হয়েছে ভারতীয় বাহিনী। এরজন্য শ্রীনগরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

তিন দিনের সফরে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো পাকিস্তান অধিকৃত আজাদ কাশ্মীরে গিয়েছেন। সোমবার ২২ মে সেখানকার বিধানসভায় সম্মানিত অতিথি হিসাবে ভাষণ দেবেন বিলাবল। আজাদ কাশ্মীরে পৌঁছেই পাক বিদেশ মন্ত্রী শ্রীনগরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-২০ দেশগুলির পর্যটন বিকাশ সংক্রাম্ত ওয়ার্কিং কমিটির সম্মেলন নিয়ে সরব হন। বলেন, "এই সম্মেলন বেআইনি। রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘোষণার পরিপন্থী।"

জি-২০ সদস্য না হওয়ায় পাকিস্তানের এই সম্মেলনে যোগদানের প্রশ্ন নেই। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এই সম্মেলনকে সামনে রেখেও ভারত বিরোধিতায় হাত মিলিয়েছে চীন ও পাকিস্তান। অরুণাচলকে নিজেদের ভূমি বলে দাবি করে আসছে বেজিং। সেই কারণে ইটানগরের সম্মেলন বয়কট করে তারা।

আবার জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অংশ বলে দাবি করা পাকিস্তানের পাশে থাকার বার্তা দিতে শ্রীনগরের সম্মেলনে থাকছে না চীন। সৌদি আরব এবং তুর্কিও যোগ দিচ্ছে না। সদস্য না হলেও সম্মেলনে আমন্ত্রিত ইজিপ্ট। শ্রীনগরে তারাও যোগ দিচ্ছে না বলে খবর। এই দেশগুলির পিছনেও চীন ও পাকিস্তানের মদত কাজ করছে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছে।