রবিবার ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইসরাইল তার ভ্রমণের অনুমতি প্রত্যাহার করেছে।এটি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের একটি অংশ যা ইসরাইলের নতুন কঠোর-পন্থী সরকার কয়েকদিন আগে ঘোষণা করেছিল।
ফিলিস্তিনিরা মালকির অনুমতি প্রত্যাহার করার নিন্দা জানিয়ে বলেছে যে ইসরাইলকে “আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য শাস্তি দেয়া উচিত।” তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করাযায়নি।
শুক্রবার সরকারের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ইসরাইল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার প্রত্যাহার করবে এবং ফিলিস্তিনি জঙ্গি হামলার শিকার ইসরাইলি পরিবারগুলোর জন্য একটি ক্ষতিপূরণ কর্মসূচিতে তহবিল স্থানান্তর করবে।
এটি আরও বলেছে, ইসরাইল আরও রাজস্ব কেটে নেবে যা এটি সাধারণত পিএ-তে স্থানান্তরিত করে- যা গত বছর ফিলিস্তিনি বন্দীদের পরিবার এবং ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে নিহতদের দেয়া অর্থের পরিমাণের সমান।ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব অর্থ প্রদানকে প্রয়োজনীয় সামাজিক কল্যাণ হিসেবে অভিহিত করে।অন্যদিকে ইসরাইল বলে যে, তথাকথিত শহীদ তহবিল সহিংসতাকে উস্কে দেয়।ইসরাইলের আটকে রাখা তহবিল পিএ-র আর্থিক সমস্যাকে আরও বৃদ্ধি করার হুমকি দেয়।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে এবং পরে এটিকে অধিগ্রহণ করে নেয়।এরকম পদক্ষেপ বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্বারা স্বীকৃত নয়।ইসরাইল শহরটিকে তার অবিভক্ত, চিরন্তন রাজধানী বলে মনে করে।
শহরটির জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ফিলিস্তিনি।তারা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা, আবাসন এবং জনসেবাসহ ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের হাতে অবহেলা এবং বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছে।