কোভিড বিধি শিথিল হবার পরই বেইজিং-এ কোভিড-সম্পর্কিত মৃত্যু

১৬ ডিসেম্বর, ২০২২, বেইজিংয়ের একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া কমপ্লেক্সে শ্রমিকরা একটি ট্রাকে মৃতদেহ তুলছে ।

পূর্ব বেইজিংয়ের একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াস্থলের বাইরে শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন পূর্ণ প্রতিরোধমূলক স্যুট পরা শ্রমিকরা একের পর এক কফিনগুলি বের করে দিচ্ছিল তখন কয়েক ডজন লোক হিমায়িত তাপমাত্রায় পার্কা এবং টুপি পরে দাঁড়িয়ে ছিল।

ক্লিপবোর্ডে থাকা মৃতদের নাম নিয়ে একজন কর্মচারী ডাকার পর একজন আত্মীয় দেহটি পরীক্ষা করতে এগিয়ে যান। এমন একজন আত্মীয় দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, তাদের প্রিয়জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলেন।

কয়েক সপ্তাহ ধরে চীনে কোনো মৃত্যুর খবর না পাওয়ার পর বেইজিংয়ে এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এমনকি দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

গত সপ্তাহে সরকার নাটকীয়ভাবে বিশ্বের কঠোরতম কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শিথিল করার পর এই ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। বুধবার, সরকার বলেছে, তারা উপসর্গবিহীন কোভিড -১৯ কেসগুলি রিপোর্ট করা বন্ধ করে দিয়েছে । কারণ পরীক্ষার প্রয়োজন বাধ্যতামুলক না থাকায় নজরে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

রিপোর্টিং বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ভাইরাসটি কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ব্যবসা বন্ধ এবং অন্যান্য প্রমাণ বিপুল সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয়।

রোষানলে পড়ার ভয়ে নাম প্রকাশ না করে এক নারী বলেন, তার বৃদ্ধ আত্মীয় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে মারা যান। আরও অনেক কোভিড রোগী ছিলেন। যাদের যত্ন নেবার জন্য পর্যাপ্ত নার্সও ছিল না।

অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হোমটি যে কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত, সেখানকার এক কর্মচারী জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলিতে সেখানে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ টি মৃতদেহ দাহ করা হচ্ছে, যা সাধারণত দিনে কয়েক ডজন ছিল।

কেউই তাদের পরিচয় প্রকাশের সাহস করছেন না।

বাধ্যতামূলক পরীক্ষার প্রয়োজন শিথিল করা হলেও, ভ্রমণকারীদের অবশ্যই পাঁচ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে হবে এবং পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং আগমনের ১০তম দিন পর্যন্ত চীনের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হবে। ম্যাকাও এবং হংকং উভয়ই বেশিরভাগ কোভিড-১৯ বিরোধী পদক্ষেপ বাতিল করেছে।