দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রধান আগামী সপ্তাহে কম্বোডিয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় নিরাপত্তা মন্ত্রীদের বর্ধিত বৈঠকে যোগ দেবেন। এর ফলে তাদের দুজনের মুখোমুখি আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, জেনারেল ওয়েই ফেংহে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ–ইস্ট এশিয়ান নেশন্স ডিফেন্স মিনিস্টার্স মিটিং–প্লাসে যোগ দেবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ বলেছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড জে অস্টিন পরে কানাডা এবং ইন্দোনেশিয়া সফর করবেন।
দুই কর্মকর্তাই আসিয়ান নামে পরিচিত ১০ জাতির সংস্থার মন্ত্রীদের প্রধান সম্মেলনের পার্শ্ব বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা করেছেন।
দেশ দুটি (চীন ও যুক্তরাষ্ট্র) এই অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। চীন আকাশযান এবং অন্য নানা অবকাঠামো দিয়ে সজ্জিত কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণের মাধ্যমে দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের দাবি জাহির করায় তাদের সংকল্পগুলোকে ঘিরে সৃষ্ট বিরোধগুলোকে মসৃণ করতে চাইছে।
রাশিয়াকে নিয়েও দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। চীন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে অস্বীকার করেছে। এ ছাড়া তাইওয়ানের মর্যাদা নিয়েও দেশ দুটির মধ্যে বিরোধ রয়েছে। তাইওয়ানকে চীন তার নিজস্ব অঞ্চল হিসেবে দাবি করে এবং তাইওয়ানকে আক্রমণের হুমকি দেয়।
চীনের সক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তারপরও যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই অঞ্চলের প্রভাবশালী সামরিক শক্তি হিসেবে রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বভৌমত্বের বিষয়ে অবস্থান না নিলেও চীনের ভিত্তিহীন দাবিগুলোকে তারা অস্বীকার করে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী নিয়মিতভাবে চীন-নিয়ন্ত্রিত দ্বীপগুলোর আশেপাশে চলাচল করে। যাকে নেভিগেশন অপারেশনের স্বাধীনতা হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। এ ধরনের কার্যক্রমের জন্য বেইজিং ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।