মঙ্গলবার চীনের ক্ষমতাসীন দল “জিরো কোভিড” নীতি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। সেখানে বিধিনিষেধগুলো কিছুটা শিথিল হওয়ার পরে জনসাধারণকে সেগুলো মেনে চলার দিকে ধাবিত করার আপাত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ আহ্বান জানানো হয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, অর্থনৈতিক ক্ষতির সর্বশেষ সূচকে দেখা গেছে, অক্টোবরে চীনা ভোক্তাদের ব্যয় সংকুচিত হয়েছে এবং কারখানার কার্যকলাপ দুর্বল হয়েছে। খুচরা বিক্রয় ১ বছর আগের তুলনায় শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।
সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া কোয়ার্টারে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এক বছর আগের তুলনায় ৩ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছেছে। এ বছরের প্রথমার্ধে প্রবৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ২ শতাংশ। তবে অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, কার্যক্রম ইতোমধ্যে শিথিল হচ্ছে। তারা বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হ্রাস করে ৩ শতাংশে এনেছে, যা কয়েক দশকের মধ্যে প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে দুর্বল হার।
দলের স্থানীয় কর্মকর্তারা নতুন প্রাদুর্ভাব রোধ করার জন্য প্রচুর চাপের মধ্যে রয়েছে, তবে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকনির্দেশনাগুলো অনুসরণ করা ইদানীং কঠিন হয়ে পড়েছে। চীন সতর্কতার সাথে বাকি বিশ্বের সাথে একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে; তবে পার্টি এবং পার্টির নেতা শি জিনপিং-এর কর্তৃত্ব এবং খ্যাতিতে অবদান রেখেছে এমন নীতিগুলো বাদ দিতে অস্বীকার করেছে।
মহামারির সময় জুড়ে বেশিরভাগ বৈশ্বিক সমাবেশে অনুপস্থিত থাকার পরে শি জিন পিং নিজেই এই সপ্তাহে গ্রুপ অফ ২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ইন্দোনেশিয়ায় রয়েছেন।
জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে সোমবার শি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং পরে ব্যাংককে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।