মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিশ্বকাপের পর কাতারের শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন

২৯ এপ্রিল, ২০১৯ এ দোহা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তরে আল খোরের আল বায়ত স্টেডিয়ামে শ্রমিকেরা কাজ করছেন।

কাতারে বিশ্বকাপ শুরু হবার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। মানবাধিকার সংগঠনগুলো আশঙ্কা করছে যে, বিদেশী শ্রমিকদের ব্যাপক শোষণ মোকাবেলা করার সুযোগটি শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

কাতারে এই বিশ্বকাপের সুবাদে উপসাগরীয় আরব দেশে লক্ষ লক্ষ বিদেশী কর্মীদের প্রতি আচরণের ব্যাপারটি নজীরবিহীন মনোযোগ পেয়েছে । এই শ্রমিকেরাই স্টেডিয়াম এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করেছে এবং তারাই বিশ্বের বৃহত্তম এই ক্রীড়া ইভেন্টের সময় হোটেলে এবং রাস্তার কাজে নিয়োজিত থাকবে।

প্রচুর আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে, কাতার সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কয়েকটি সংস্কার করেছে, যার মধ্যে রয়েছে এমন একটি সিস্টেমের আংশিক বাতিল যা শ্রমিকদের তাদের নিয়োগকর্তাদের সাথে ন্যূনতম মজুরিতে চুক্তি কার্যকর করত। জাতিসংঘের পাশাপাশি মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির দ্বারাও সেটি প্রশংসিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও শ্রমিকদের প্রতি ন্যায়বিচারের অভাব আছে বলে তারা বলেন।

তারা ডিসেম্বর মাসে মাসব্যাপী টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পরে কী ঘটতে পারে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে।

কাতার বলছে, তারা শ্রম সংস্কারে এ অঞ্চলের নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং বিশ্বকাপের পরেও এ অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। ক্ষমতাসীন আমিরের কর্মকর্তারা সমালোচকদের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, প্রথম মুসলিম এবং আরব দেশ হিসাবে বিশ্বকাপের আয়োজক এই দেশকে অন্যায়ভাবে দেখা হচ্ছে এবং তাদের করা সংষ্কার উপেক্ষা করা হচ্ছে।