জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এই সপ্তাহে চীনে তার প্রথম সফর করছেন। এটি একটি কূটনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর সফর। জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই মুহুর্তে ক্রমবর্ধমান দৃঢ় এবং কর্তৃত্ববাদী বেইজিংয়ের দিকে তাদের কৌশল নিয়ে কাজ করছে।
শোলজের বার্তাগুলি ঘনিষ্ঠ ভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যদিও তার সরকার পূর্বসূরি আঙ্গেলা মার্কেল-এর বাণিজ্য অগ্রাধিকার পদ্ধতি থেকে প্রস্থানের ইঙ্গিত দিয়েছে, তারপরও তিনি একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল নিচ্ছেন। তার এই সফরের আগে একটি জার্মান কনটেইনার টার্মিনালে চীনা শিপিং কোম্পানির বিনিয়োগ নিয়ে জার্মানীতে বিতর্ক তৈরি হয়ে।
শোলজের এই সফর, সম্প্রতি ইইউ-র একজন প্রধান নেতার প্রথম সফর, যা শি-কে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসাবে তৃতীয় মেয়াদে মনোনীত করার ঠিক পরেই এসেছে। এর সাথে তাইওয়ান নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাও রয়েছে । জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে উইঘুর এবং অন্যান্য জাতিগত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন "মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ" হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
জার্মানির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই সফরকে “একটি অনুসন্ধানমূলক সফর” হিসেবে চিহ্নিত করে সাংবাদিকদের বলেন , “চীন কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, চীন কোথায় যাচ্ছে এবং বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এই নির্দিষ্ট চীনের সঙ্গে কী ধরনের সহযোগিতা সম্ভব,” তা দেখা হবে।
উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক সম্পর্কের মধ্যেও চীন ২০২১ সালে টানা ষষ্ঠ বছরের জন্য জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার ছিল। শোলজের সরকার এই সম্পর্কগুলিতে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। তার তিন দলীয় জোট একটি “বিস্তৃত চীন কৌশল' প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বায়েরবক রোববার এআরডি টেলিভিশনকে বলেন, “ তিনি আশঙ্কা করছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার সঙ্গে জার্মানি যে ভুল করেছে তার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। আমাদের অবশ্যই এটা প্রতিরোধ করতে হবে। ”
চীনের ক্ষেত্রে শোলজকে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান মঙ্গলবার বলেন, বেইজিং বিশ্বাস করে যে শোলজের এই সফর দুই দেশের মধ্যে "ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বের" উন্নয়নে "নতুন প্রেরণা" সৃষ্টি করবে এবং বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।