ইরানের অলিম্পিক প্রধান বলেছেন নারী পর্বতারোহীকে কোনো শাস্তি দেয়া হবে না

ইরানি ক্রীড়াবিদ এলনাজ রেকাবি দক্ষিণ কোরিয়ার সোওলে আইএফএসসি ক্লাইম্বিং এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সময় নারীদের বোল্ডার এবং লিড ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।১৬ অক্টোবর, ২০২২। (রিয়া খাং/এপির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অফ স্পোর্টস ক্লাইম্বিং)।

বৃহস্পতিবার ইরানের জাতীয় অলিম্পিক কমিটির সভাপতি বলেছেন, পর্বতারোহী প্রতিযোগী এলনাজ রেকাবি ইরানের বাধ্যতামূলক হিজাব না পরে সপ্তাহান্তে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার কারণে শাস্তি বা বরখাস্তের মুখোমুখি হবেন না।

রেকাবির সমর্থকরা অবশ্য ৩৩ বছর বয়সী এই পর্বতারোহীর জন্য চিন্তিত কারণ অন্যান্য ক্রীড়াবিদ ইরানে চলমান বিক্ষোভকে সমর্থন করার কারণে সরকারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোওলে এপির সাথে কথা বলার সময় মাহমুদ খোসরাভি ভাফা বলেন, রেকাবির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কোনো কারণ নেই কারণ হিজাব না পরা তার পক্ষ থেকে একটি “অনিচ্ছাকৃত” কাজ ছিল।

রেকাবির হিজাব ছাড়াই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভে অংশ নেয়া প্রতিবাদকারীদের উৎসাহ জুগিয়েছে। ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে শত শত মানুষ তার আগমনের জন্য জড়ো হয়েছে। রেকাবিকে তারা “এনলাজ দ্য চ্যাম্পিয়ন” বলে উল্লাস করছিল। তারা রেকাবিকে তাদের অব্যাহত বিক্ষোভের অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছে।

খোসরাভি ভাফা অবশ্য এই সন্দেহের সমাধান করেননি যে, ইরানি কর্তৃপক্ষ সোওলের ইভেন্টের পরে রেকাবির পাসপোর্ট আটক করেছিল এবং তাঁকে দ্রুত চলে যেতে বাধ্য করেছিল কিনা।

১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকে দেশব্যাপী বিক্ষোভে ভাসছে ইরান। দেশটির নৈতিকতা পুলিশ আমিনিকে পোশাকের কারণে আটক করেছিল।

এই বিক্ষোভ জনসমক্ষে নারীদেরকে তাদের হিজাব অপসারণ করতে অনুপ্রাণিত করেছে। স্কুল বয়সী শিশু, তেল শ্রমিক এবং অন্যান্যরা এই বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে এসেছে। ২০০৯ সালের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভের পর থেকে এটি ইরানের ধর্মতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জের প্রকাশ ।