ডেলাওয়ারের প্রবীণ যোদ্ধা আর্নেস্ট মার্ভেল ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত

ফাইল ছবি-ফ্রান্সের ন্যাশনাল অর্ডার অফ দ্য লিজিয়ন অফ অনারের অমূল্য নেকলেস।

আর্নেস্ট মার্ভেলের ফ্রাঙ্কফোর্ডের বাড়িতে মেডেল ভর্তি তাক।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানদের হাত থেকে ফ্রান্সকে মুক্ত করতে যুদ্ধ করার প্রায় ৮০ বছর পর, জুলাই মাসে তাকে ফ্রেঞ্চ লিজিয়ন অফ অনারে ভূষিত করা হয়েছিল। এটা তার সম্মানের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন।

বর্তমানে মার্ভেলের বয়স ৯৮ বছর; যুদ্ধ পর খুব কমই তিনি বেথানি বিচ এলাকা থেকে বের হয়েছে।

তিনি অত্যন্ত আনন্দের সাথে তার পরিবার নিয়ে কথা বলেন। তার বাগান তার গর্বের বস্তু এবং আনন্দের স্থান। সপ্তাহান্তে তিনি স্থানীয় ভিএফডব্লিউ এবং ঈগলস ক্লাবে কারাওকে নাচ এবং গান করতে পছন্দ করেন।

কিন্তু মার্ভেলের ভিন্ন সময়ের কিছু দুঃসহ স্মৃতিও মনে রেখেছেন। ঐ সময়টা হচ্ছে, যখন অ্যাডলফ হিটলার পরিচালিত কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে হাজার হাজার বন্দিকে মুক্ত করতে মার্ভেলের মতো সৈনিকরা ইউরোপে লড়াই করছিলেন।

১৯৪৫ সালে মার্ভেল ফরাসি এবং জার্মান গ্রামগুলোর মধ্য দিয়ে রাইন নদীর ওপারে গিয়োছলেন। তিনি গিয়েয়েছিলেন দাচাউয়ের ফটক পর্যন্ত।

মার্ভেল জানান, তার পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার রয়েছে। যুদ্ধের পর, বার বার তার যুদ্ধের স্মৃতি মনে পড়তো। এ কারণে তিনি রাতে স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতেন। শেষ পর্যন্ত তিনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেন।

তার মাসসিক আঘাতের একটি অংশ এসেছে দাচাউ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প মুক্ত করার জন্য পরিচালিত যুদ্ধ থেকে। মার্ভেলের স্মৃতিতে সেই ভয়ঙ্কর জায়গাটি এখনো তরতাজা, যেখানে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল।

হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী দাচাউতে ৩২ হাজার বন্দিকে মুক্ত করেছিল।

ইটিন বলেছেন, সামরিক এবং বেসামরিক দায়িত্ব পালন করে কোন ব্যক্তি ফ্রান্সের জন্য অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ১৮০২ সালে পুরস্কারটি প্রবর্তন করা হয়।

লিজিয়ন অফ অনার ওয়াবসাইট অনুসারে, প্রতি বছর গড়ে ২ হাজার ২শ জন ফরাসি নাগরিক এবং ৩শ জন বিদেশিকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।