তালিবান শাসনের এক বছরঃ নিজের ভূমিকার পক্ষে সাবেক আফগান নেতা ঘানির যুক্তি

ফাইল ছবি- কাবুল বিমানবন্দরে আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির একটি ছেঁড়া পোস্টারের পাশে দাঁড়িয়ে আছে কয়েকজন আফগান। ১৬ আগস্ট, ২০২১।

তালিবানের কাবুল দখলের এক বছর পূর্তির প্রাক্কালে আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোববার বলেন, গতবছর তার দেশত্যাগের সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ে। কারণ, তিনি বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পনের অপমান এড়াতে চেয়েছিলেন।

আশরাফ ঘানি সিএনএনকে আরও বলেন, ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট সকালে যখন তালিবান আফগান রাজধানীর দ্বারপ্রান্তে, সেসময় তার রক্ষীরা চলে যায়। তখন তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সর্বশেষ ব্যক্তি। তিনি বলেন, তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেদিন তাকে বলেছিলেন যে, কাবুলকে রক্ষা করা যাবে না।

ঘানি এর আগেও কাবুলের পতনের দিনে তার পদক্ষেপগুলো সমর্থনে যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে রোববার এ সম্পর্কে তিনি আরও বিশদ আলোচনা করেন। তার অভিযোগ করেন, তার প্রাসাদের এক বাবুর্চিকে এক লাখ ডলার দেয়া হয়েছিল তাকে বিষ খাওয়ানোর জন্য। তখন তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, পরিবেশ আর নিরাপদ নয়।

সমালোচকরা বলছেন, ১৫ আগস্ট ঘানির আকস্মিক এবং গোপন প্রস্থান শহরটিকে দিশেহারা অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল।ঐ সময় যুক্তরাষ্ট্র এবং নেটো বাহিনী ২০ বছর পর দেশটি থেকে তাদের বিশৃঙ্খল প্রত্যাহারের চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল।

ঘানি এবং অন্য কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে যাওয়ার সময়, তিনি নগদ কয়েক মিলিয়ন ডলার সাথে নিয়ে পালিয়েছেন বলে যে অভিযোগ করা হয়, তা-ও ঘানি অস্বীকার করেছেন।

তালিবান আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন। আর, ঘানি সরকারের সময় যে আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রবাহ ছিল, তাও অনেকাংশে কাটছাট হয়ে পড়েছে। তালিবান আফগানিস্তান শাসন করতে এবং দেশটির তীব্র অর্থনৈতিক পতন থামাতে লড়াই করছে। তাদের শাসন লাখ লাখ আফগানকে দারিদ্র্য এবং এমনকি ক্ষুধার মুখ ঠেলে দিয়েছে।