প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি শনিবার (৯ এপ্রিল) বলেছেন, ইরান পরমাণু উন্নয়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য আলোচনা স্থগিত রয়েছে।
ইরানের জাতীয় পারমাণবিক প্রযুক্তি দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট বলেন, তার প্রশাসন শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক প্রযুক্তির গবেষণায় ত্বরান্বিতকরণকে সমর্থন করবে।
“পারমাণবিক ক্ষেত্রে আমাদের জ্ঞান ও প্রযুক্তি পরিবর্তনযোগ্য নয়। শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক ক্ষেত্রগুলোতে ইরানের (নিরবচ্ছিন্নতা) গবেষণা অন্যের দাবি বা দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করবে না”, অগাস্টে ক্ষমতায় আসা রাইসি বলেছিলেন।
২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ভিয়েনায় ইরান ও বিশ্বশক্তির মধ্যে আলোচনা স্থগিত থাকার মধ্যেই রাইসির এই মন্তব্য এসেছে। উদ্বেগ রয়েছে যে, ইরান চাইলে একটি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হবে।
চার বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে পারমাণবিক চুক্তি ভেঙ্গে যায়। এরই মধ্যে ইরান তার পারমাণবিক কাজের ব্যাপক সম্প্রসারণ করেছে।
ইরান দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে আসছে যে, তার পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে যেমন; বৈদ্যুতিক শক্তি ও চিকিৎসা আইসোটোপ তৈরি করার জন্য পরিচালিত হচ্ছে।
ইরানের বেসামরিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ এসলামি বলেছেন, ইরান শিগগিরই ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চেষ্টা করবে। এটি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে তেল সমৃদ্ধ খুজেস্তান প্রদেশের দারখোভিন শহরের কাছে অবস্থিত।
প্ল্যান্টটি ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের আগে ফ্রান্সের সহায়তায় তৈরি করার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পটি প্রাথমিক পর্যায়েই স্থগিত করা হয়েছিল। ১৯৮০ সালে শুরু হওয়া ইরান ও ইরাকের মধ্যে আট বছরের যুদ্ধে জায়গাটি একটি প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে ওঠে।
১০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ইরানের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রাশিয়ার সহায়তায় ২০১১ সালে দক্ষিণের বন্দর শহর বুশেহরে চালু হয়েছিল।