আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দেবে না বলে জানিয়েছে মিয়ানমার

ফাইল - কম্বোডিয়ার আন খুন স্যাম আউন/ন্যাশনাল টেলিভিশনের দেওয়া এই ছবিতে, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে নেপিইতাও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গার্ড অফ অনার দেয়ার সময় তার সঙ্গে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উনা মং লুইন। ৭ জানুয়ারি ২০২২।

সোমবার মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে, মিয়ানমার তার প্রধান কূটনীতিকের পরিবর্তে একজন অরাজনৈতিক প্রতিনিধি পাঠানোর আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে। আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কম্বোডিয়ায় এই সপ্তাহের বৈঠকে তারা অংশ নেবে না।

এ মাসের শুরুতে আসিয়ানের বর্তমান সভাপতি কম্বোডিয়া জানিয়েছে যে, কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে বুধ ও বৃহস্পতিবারের বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উনা মং লুইনকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে আঞ্চলিক গ্রুপের সদস্যরা একমত হতে পারেননি।

মিয়ানমারের অংশগ্রহণ সীমিত করার সিদ্ধান্তটি সে দেশে সেনাবাহিনীর দখলের ফলে দেশটির সহিংস রাজনৈতিক সঙ্কট কমাতে গত বছর আসিয়ানে সম্মত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে মিয়ানমারে অসহযোগিতার বিষয়ে মত বিরোধেরই প্রকাশ।

মতানৈক্যের কারণে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান, সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংকে গত অক্টোবরে আসিয়ান নেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বন্দী থাকা সু কি'র সাথে আসিয়ানের একজন বিশেষ দূতের সাক্ষাতে বাধা দেয়ার পরপরই এই ভর্ত্সনা করা হয়।

আসিয়ানের বর্তমান চেয়ারম্যান ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান সেন জানান যে, তিনি মনে করেন যে মিয়ানমারের পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়া গুরুত্বপূর্ণ।

কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র চাম সৌনরি বলেছেন যে , এই সপ্তাহের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে মতভেদের কারণ "আসিয়ানের ৫-দফা ঐকমত্য বাস্তবায়নে তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি"। দফাগুলোর ব্যাপারে মিয়ানমারসহ গ্রুপের সকল সদস্য একমত হয়েছিল।

গত এপ্রিলে একটি বিশেষ বৈঠকে মিয়ানমারে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করা, সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের মধ্যে সংলাপ, আসিয়ানের একজন বিশেষ দূতের মধ্যস্থতা, আসিয়ান চ্যানেলের মাধ্যমে মানবিক সহায়তার ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে সাক্ষাতের জন্য বিশেষ দূতের মিয়ানমার সফরের আহ্বান জানিয়ে একটি ঐক্যমত্য প্রকাশ করে আসিয়ান নেতারা বিবৃতি জারি করেন।

ঐক্যমত্য প্রত্যাখ্যান না করলেও তা বাস্তবায়নে মিয়ানমার কোন ভূমিকাই রাখেনি।

মিয়ানমারের মিলিটারি কাউন্সিলও দেশের কোথাও সামান্য বিদ্রোহের সম্মুখীন হলেই তার বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে। সেইসাথে সু চিকে রাজনৈতিক জীবন থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য তার বিচার করার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।