সীমান্ত দেখভাল সংক্রান্ত চলতি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি-বোঝাপড়ার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে চীনের নতুন জমি সীমান্ত আইন, বলছে ভারত। নয়াদিল্লির বক্তব্যে ক্ষোভ, উদ্বেগ ফুটে উঠেছে এ ব্যাপারে।
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবৃতি জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, দুটি দেশের মধ্যে সীমান্ত সমস্যারও সমাধান হয়নি। তাই সীমান্ত প্রশ্নটিও ভারতের কাছে উদ্বেগের বিষয়।
চীন সম্প্রতি এক নয়া আইন এনেছে। ‘ল্যান্ড বাউন্ডারি ল’ শিরোনামে নতুন আইন সম্পর্কে বিদেশমন্ত্রক বলেছে, ভারত-চীন সীমান্ত এলাকা বরাবর শান্তি, স্থিতাবস্থা বহাল রাখা বা সীমান্ত প্রশ্ন-যাই হোক না কেন, এধরনের একতরফা পদক্ষেপ দুটি দেশের মধ্যে ইতিমধ্যে হওয়া বোঝাপড়ার ওপর প্রভাব ফেলবে। নতুন আইনের বলে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি একপেশে ভাবে বদলে দিতে পারে, এমন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া থেকে চীন বিরত থাকবে বলে ভারত আশা করে।
সীমান্ত প্রশ্নের মীমাংসা হয়নি বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। বলেছে, "উভয় পক্ষই সমান জমিতে দাঁড়িয়ে আলাপ, আলোচনার পথে সীমান্ত প্রশ্নের যুক্তিসঙ্গত, ন্যায্য ও পরস্পরের কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজতে সম্মত হয়েছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি, স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে একাধিক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, ব্যবস্থা, নিয়ম, প্রটোকলও স্থির করেছি আমরা।"
বিদেশমন্ত্রক এও বলেছে, "নতুন আইন পাশ হওয়ার ফলে ১৯৬৩ সালের তথাকথিত চীন-পাকিস্তান সীমান্ত চুক্তিটি বৈধতা পাবে বলে আমরা মনে করি না।" ওই চুক্তি বেআইনি, মূল্যহীন চুক্তি বলে ভারত সরকার ধারাবাহিক ভাবে বলে যাচ্ছে।
বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে, চীনের নয়া আইনে অন্য নানা বিষয়ের মধ্যে একথা বলা আছে যে, স্থল সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে চীন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুসারে চলবে। নতুন আইনে সীমান্ত এলাকায় জেলাগুলির পুনর্বিন্যাসের বন্দোবস্তও রয়েছে।