অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ধর্মের অবমাননার অভিযোগ, ২৮ ঘণ্টার ভেতর আরও একজনকে পিটিয়ে মারা হল পাঞ্জাবে


অমৃতসর স্বর্ণমন্দির। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)
অমৃতসর স্বর্ণমন্দির। (ছবি- অ্যাডোবে স্টক)

ধর্মের অবমাননার অভিযোগে আরও একজনকে পিটিয়ে মারা হল পাঞ্জাবে। রবিবার ভোরে কাপুরথালা জেলার নিজামপুর গ্রামে গুরুদোয়ারার মধ্যে এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলে স্থানীয় জনতা। অভিযোগ, সে নিশান সাহিব (শিখদের পতাকা)-র অবমাননা করেছিল।

পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করে। উপস্থিত জনতা দাবি করে, তাদের সামনে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ হয়। তখনই ধৃতের মৃত্যু হয়।

ওদিকে শনিবার সন্ধ্যায় অমৃতসরে স্বর্ণমন্দিরে ধর্ম অবমাননার চেষ্টা করেছিল এক ব্যক্তি। উত্তেজিত জনতার হাতে সে খুন হয়েছে। শনিবার রাতে এমনই জানিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশ। একটি সূত্রের খবর, এদিন সন্ধ্যায় প্রার্থনার সময় রেলিং টপকে মন্দিরে ঢুকে পড়ে। গুরু গ্রন্থ সাহিবের সামনে যে কৃপাণ রাখা ছিল, সেটি ছুঁতে চেষ্টা করে। তখনই উপস্থিত জনতা তাকে ধরে ফেলে। তাদের হাতে সে মারা পড়ে।

স্বর্ণমন্দিরে প্রতিদিন সন্ধ্যার প্রার্থনা টিভিতে সম্প্রচার করা হয়। এদিন টিভিতে দেখা গিয়েছে, অনেকে ওই ব্যক্তিকে থামাতে যাচ্ছেন।

অমৃতসর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার পারমিন্দর সিং বাদল বলেন, "সন্ধ্যায় প্রার্থনার সময় এক ব্যক্তি রেলিং টপকে ঘেরা জায়গায় ঢুকে পড়ে। তাঁর বয়স ২০ থেকে ২৫-এর মধ্যে। তার মাথায় একটি হলুদ কাপড় বাঁধা ছিল। উপস্থিত জনতা তাকে ঘিরে করিডোরে নিয়ে আসে। সেখানেই সে খুন হয়।"

পারমিন্দর জানান, "ওই ব্যক্তির কোনও সঙ্গী ছিল না। ওই এলাকায় অনেকগুলি সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। তার ফুটেজগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে। পুলিশ মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে।"

গুরু গ্রন্থ সাহিবের সঙ্গে শিখদের ভাবাবেগ জড়িত। গত কয়েক বছরে একাধিকবার গুরু গ্রন্থ সাহিবের অবমাননার চেষ্টা হয়েছে। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। এদিন অকালি দল রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করে বলেছে, স্বর্ণমন্দিরে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ঢুকে পড়ার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। অকালি দলের সাংসদ বলবিন্দর ভুন্দের বলেন, "এদিন যা হয়েছে, তা খুবই বেদনার বিষয়। এভাবে পাঞ্জাবকে দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে।"

XS
SM
MD
LG