আফগানিস্তানের কাবুল থেকে সুসান সালিহ-র পাকিস্তানের পেশোয়ারে পৌঁছাতে প্রায় আট ঘণ্টা সময় লেগেছে। সুসান পাকিস্তান সরকারের আফগান শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলাশিপের পরীক্ষা দিতে পেশোয়ারে গেছে।
২৫ বছর বয়সী সালিহ এবং পেশোয়ারের ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সে পরীক্ষা দেয়া একদল তরুণী ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, অনলাইনে পরীক্ষা দিতে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও তারা “এই সুযোগটি মিস না করার জন্য” পরিবারের সদস্যদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষায় বসার জন্য গেছেন।চ
২০২২ সালে তালিবান নারীদের বিশ্বুবিদ্যালয়ে পড়া নিষিদ্ধ করার পর আফগানিস্তানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের স্বপ্ন অনুসরণ করতে পারেনি সালিহ। তিনি বলেন, “আমি আশা করি এটি অন্তত সেই মেয়েদের জন্য প্রতিদান দেবে যারা এখন [তাদের উচ্চশিক্ষা অর্জনের] সুযোগ পেয়েছে।
পাকিস্তানের উচ্চশিক্ষা কমিশন জানায়, আফগান শিক্ষার্থীদের জন্য ঘোষিত দুই হাজার স্কলারশিপের বিপরীতে ২১ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার হলেন তরুণী।
কমিশন জানায়, আফগান শিক্ষার্থীদের জন্য আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল স্কলারশিপের অংশ হিসেবে এই বৃত্তি দেয়া হয়েছে।
পাকিস্তান সরকার জানায়, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর বৃত্তির পুরো অর্থায়ন করা হবে। এর মধ্যে টিউশন ফি, হোস্টেলের বকেয়া এবং থাকা-খাওয়া, বই ও যাতায়াত ভাতা রয়েছে।
উচ্চশিক্ষা কমিশনের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার মুহাম্মদ ওয়াকার খান বলেন, মেধার ভিত্তিতে বৃত্তির জন্য শিক্ষার্থীদের ‘সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত’ করা হবে।
তিনি বলেন, “পরীক্ষার পর আমরা ওই শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নেব।”
এর আগে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, তালিবান নারী শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে। তবে শর্ত হলো, তাদের পুরুষ অভিভাবকদের তাদের সাথে যাওয়ার ভিসা দেয়া হবে।
কিন্তু ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলকারী তালিবান সোমবার স্কলারশিপের বিষয়ে কোনো ‘শর্তসাপেক্ষ চুক্তিতে’ পৌঁছানোর কথা অস্বীকার করেছে।
তালিবান নারীদের অভিভাবক ছাড়া দীর্ঘ দূরত্ব ভ্রমণ, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সাথে কাজ করা এবং পাবলিক বাস, বিউটি সেলুন ও পাবলিক পার্কে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে।
আয়াজ গুল এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।