অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হাছান মাহমুদ: ‘বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার পরিবেশ দুটোই থাকা উচিত’


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ। ৯ এপ্রিল, ২০২৪।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ। ৯ এপ্রিল, ২০২৪।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিত, সেই সাথে শিক্ষার পরিবেশ যেন বজায় থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

হাছান মাহমুদ বলেন, “বুয়েটে ছাত্র রাজনীতিই অবদান রেখেছে। সেই ছাত্র রাজনীতি থেকে অনেক দেশ বরেণ্য রাজনীতিবিদের জন্ম হয়েছে, যারা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে, দিচ্ছে। কিন্তু আমি অবাক হয়েছি, সেখানে একটি দুঃখজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হয় এবং ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য আবার সেখানে আন্দোলনও হয়।”

“এটা কোনভাবেই গণতান্ত্রিক নয় এবং হঠকারী সিদ্ধান্ত বলেই আদালত বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই আদেশ বাতিল করেছে এবং সেখানে ছাত্র রাজনীতি দুয়ার খুলেছে;” বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, রাজনীতি যে দেশ ও মানুষের সেবা এবং সমাজ পরিবর্তনের একটি ব্রত; সে কথা অনেক রাজনীতিবিদ ভুলে গেছেন, প্রকৃতপক্ষে রাজনীতি কারো পেশা হওয়া উচিত নয়।

শিক্ষক সমিতির দাবি

ছাত্র রাজনীতি নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। সোমবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে, বুয়েট শিক্ষার্থীদের কাছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের ইমেইল প্রেরণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এবং এ বিষয়ে দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

বুয়েট শিক্ষক সমিতি বিবৃতিতে বলেছে, “একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও নিষ্কলুষ ক্যাম্পাস আমাদের সবার কাম্য। সব অংশীজনের সহযোগিতা ও দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে অচিরেই সে অবস্থা ফিরে আসবে বলে শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।”

উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বুয়েটে আন্দোলন শুরু হয়। পরে আন্দোলনের বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলতে বাধা নেই।

গত ২৮ মার্চ ছাত্রলীগের সভাপতি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে, ছাত্রলীগ বুয়েট শাখা কমিটি গঠন করছে এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে এবং উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। এ সময় ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তার সঙ্গে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।

সেইসঙ্গে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখার দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। এর পর আন্দোলনের বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত।

এছাড়া, ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের সমাগম ঘটানোর কারণে, বুয়েট-এর শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাহিম রাব্বীর আবাসিক হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) উচ্চ আদালত এই আদেশ দেন।

XS
SM
MD
LG