অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

নসরুল হামিদ: ‘বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি জরুরি’


বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো জরুরি। আর, এর জন্য বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অপরিহার্য।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানী ঢাকার বারিধারায়, নেপাল দূতাবাসে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি জানান, ভারত ও নেপালের কাছে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। “নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হলে, বিদ্যুৎ আমদানির পাশাপাশি রপ্তানি করা যাবে;” বললেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে লাভজনক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের অঞ্চলের সম্ভাবনাকে দ্রুত কাজে লাগানো যেতে পারে।”

“আর, টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর একসঙ্গে কাজ করা অপরিহার্য;” যোগ করেন নসরুল হামিদ।

বাংলাদেশ প্রথম ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করেছে বলে উল্লেখ করে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এখন ভারত থেকে প্রায় ২৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।”

ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারা এইচভিডিসি উপকেন্দ্রের অব্যবহৃত ক্ষমতার মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানান নসরুল হামিদ।

নেপালের জাতীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (এনইএ) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) মধ্যে দাম নির্ধারণ প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী হামিদ বলেন, নেপাল ও ভারতের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ নিয়ে নেপালের সানকোশি-৩ প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে বিপিডিবি। এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই সম্পন্ন হয়েছে; দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

জিএমআর প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট নেপালি প্রকৌশলীদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ দিতে পারে।

সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ নেপালে সহায়তা করতে পারে, বলেন নসরুল হামিদ। বলেন, বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী।

“তাদের উৎসাহিত করতে নেপালের উচিত বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা;” বলেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল ৈহামিদ।

বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি তার বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বিনিয়োগের পরিবেশ আরো উদার ও ব্যবসাবান্ধব সহয়েছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা নেপালের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আরো বলেন, “বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই দুই দেশ পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ নিয়ে বাণিজ্যের পথে অনেক দূর এগিয়েছে।”

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নেপাল ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুশীল ভাট্টা।

XS
SM
MD
LG