ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমা ওয়াংচুক বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাজা ওয়াংচুকেকে ফুল দিয়ে বরণ করেন এবং বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি ড. রেবেকা সুলতানা রানীকে বরণ করেন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকালে রাজা ওয়াংচুক ও রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর, বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি ও ভুটানের রানী জাতীয় স্বাধীনতা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে নির্মিত বঙ্গভবন মাঠের মঞ্চে যান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ফার্স্ট লেডি ও ভুটানের রানী আগত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় পর্বে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে রাজা ওয়াংচুক পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রীয় অতিথিদের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভুটানের রাজা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন
এদিকে, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে ভুটানের রাজাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের সেবা কার্যক্রম ঘুরিয়ে দেখান বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
পরিদর্শন শেষে ভুটানের রাজা স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার প্রশংসা করেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক।
মহান মুক্তিযুদ্ধ কালে, ভুটান সরকার প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করায় ভুটানের রাজার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।