বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে রাজধানী ঢাকায়, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর আলোচনা এ কথা বলেন তিনি।
“বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে চেয়েছিলো। সেজন্য তারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা খেই হারিয়ে ফেলেছে;” হাছান মাহমুদ আরো লেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ৯.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বেগে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সে সময় অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পটভূমি তৈরি করে।
“শুধু বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা নয়, স্বাধীনতারও বিরোধিতা করেছিলো তারা। সেই অপশক্তির ধারাবাহিকতা এখন উন্নয়ন অগ্রগতি বিনষ্ট করতে, দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত;” যোগ করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “তারা প্রকাশ্যেই দেশকে পেছনে নেয়ার জন্য ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগান দেয়।”
এই রাজনৈতিক অপশক্তি বারবার দেশে গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চেয়েছে বলে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “সেই চক্রান্তেই বিএনপি গত নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিলো। এর পর, ব্যর্থ হয়ে এখন হাঁটছে, লিফলেট দিচ্ছে।”
আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, “আপনারা হাঁটুন, দৌড়ান; কিন্তু আবার যদি মানুষ পোড়ানোর অপচেষ্টা করেন, জনগণ উচিত শিক্ষা দেবে।”
কিছু বিশেষ ব্যক্তি এই অপশক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বলে জানান হাছান মাহমুদ। অভিযোগ করেন ঐ সব ব্যক্তি বিশ্বের সামনে দেশকে দরিদ্র বলে অপপ্রচার চালিয়ে নিজে নানা পুরস্কার নেয়।
তিনি বলেন, “ড. ইউনূসের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে তার কোনো চিন্তা নেই। দেশে যখন বন্যা হয় তখন তাকে পাওয়া যায় না, দেশে যখন মানুষ পোড়ানো হয় তখন তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না, দেশে যখন দুর্যোগ হয় তখন ড. ইউনুসকে বিদেশে পুরস্কার নিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।”
মঈন খান: ‘বাংলাদেশে দ্বিতীয় বাকশাল কায়েম হয়েছে’
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান শনিবার (১৬ মার্চ), বলেছেন যে দেশে 'দ্বিতীয় বাকশাল' কায়েম করা হয়েছে।
“আপনারা জানেন, অতীতে গণতন্ত্রকে হত্যা করে সংসদে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিলো। এখন বিরোধীদের কোনো জায়গা নেই। এটাই হলো আজকের বাংলাদেশের বাস্তবতা;” বলেন আব্দুল মঈন খান।
তিনি আরো বলেন, “আমরা বারবার বলেছি, দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করা অসম্ভব। আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।”
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের গণতন্ত্রপন্থী ও স্বাধীনতাকামী দল বলে দাবি করলেও গণতন্ত্র চুরি করে একদলীয় বাকশাল শাসন কায়েম করেছে। এখানেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পার্থক্য; বলেন মঈন খান।
ড. মঈন প্রশ্ন করেন,আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা গণতন্ত্র পন্থী রাজনৈতিক দল, তাহলে তারা কেন দেশে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে?’
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল চেতনা গণতন্ত্র বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের সৌন্দর্য ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সহাবস্থানে। কিন্তু, আওয়ামী লীগ তা বিশ্বাস করে না।”