বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীন বিচার বিভাগ, শক্তিশালী সংসদ ও প্রশাসন একটি দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে; উন্নয়নকে উৎসাহিত করে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে, একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে একথা বলেন শেখ হাসিনা।
“আমরা ক্ষমতায় আসার পর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বাসকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে, বিচার বিভাগকে প্রশাসন থেকে পৃথক করে সম্পূর্ণ স্বাধীন করেছি;” যোগ করেন শেখ হাসিনা।
একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশীয় সাংবিধানিক আদালত: বাংলাদেশ ও ভারতের শিক্ষা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, তার সরকার বিচার বিভাগকে প্রশাসন থেকে আলাদা করেছে এবং এর জন্য পৃথক বাজেট বরাদ্দ করেছে।
বিচার বিভাগ আগে আর্থিক বিষয়ে সরকারের ওপর নির্ভরশীল ছিলো বলে জানান তিনি। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, এর আগে নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলো। “আমরা এটাকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) হিসেবে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন করেছি এবং এর জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি;” যোগ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “এর মানে হলো; আমরা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি এবং আওয়ামী লীগ সরকার তা করতে পারে।”
শেখ হাসিনা বলেন যে তার সরকার উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী সংবিধানে একটি অনুচ্ছেদ সংযোজন করেছে; যাতে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
“এই অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে, আমি বলতে পারি, জনগণের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে;” বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানান, বাংলাদেশ ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃত হবে।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও ভারতের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।