অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শেখ হাসিনা: ‘নিঃস্বার্থভাবে সমাজের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের উৎসাহিত করুন’


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

নিঃস্বার্থভাবে সমাজ সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের উৎসাহিত করতে, সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে , অনুষ্ঠানিকভাবে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক, বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন শেখ হাসিনা। এসময় দেয়া বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।

একুশে পদক-২০২৪ বিজয়ী, দই বিক্রেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মী জিয়াউল হকের কর্মের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “আমি আপনাদের অনুরোধ করবো, প্রতিটি জায়গায় এমন নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন, যাদের কোনো প্রচার নেই।”

“যারা শিক্ষা অর্জন করতে পারেনি, তাদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে জিয়াউল হক তার জীবন উৎসর্গ করেছেন;” উল্লেখ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

তিনি যোগ করেন, “আমরা যারা সমাজের উঁচু স্তরে রয়েছি তাদের দায়িত্ব, যারা এত বড় ত্যাগ স্বীকার করছে, তাদের খুঁজে বের করা।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কারপ্রাপ্তদের শুভেচ্ছা জানান এবং সমাজের প্রতি তাদের নিষ্ঠার প্রশংসা করেন।

জিয়াউল হাসান সমাজসেবার জন্য একুশে পদক-২০২৪ লাভ করেন। গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা এবং অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণে সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি।

একুশে পদক গ্রহণ করার সময় জিয়াউল তার পাঠাগারের জন্য স্থায়ী জমি ও ভবন দাবি করেন। জিয়াউলের দাবি অনুযায়ী তার গণগ্রন্থাগারের জন্য স্থায়ী জমি ও ভবনের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে সফলভাবে জাতিকে ইতিহাস বিকৃতি থেকে মুক্ত করেছে।

“আমি বিশ্বাস করি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর, আমরা অন্তত বিকৃত ইতিহাস থেকে জনগণকে মুক্ত করতে পেরেছি। আজ মানুষ ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে;” বলেন শেখ হাসিনা।

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।

“ভাষা আন্দোলন করার জন্য বঙ্গবন্ধু কারাগারে ছিলেন। কোনো অবদান না থাকলে তিনি কেন জেলে ছিলেন;”প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে তার সরকার ১৯৭৫-১৯৯৬ সময়কালের হারানো বাংলাদেশের গৌরবময় ভাবমূর্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে।

“আগামীতে এই ভাবমূর্তি সমুন্নত রেখে, আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা বিশ্ব দরবারে মর্যাদা সমুন্নত রেখে, মাথা উঁচু করে চলবো;” শেখ হাসিনা আরো বলেন।

XS
SM
MD
LG