বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে আর মাথা তুলে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে দেয়া যাবে না।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে, হোটেল বার্গারহাউস গার্চিংয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। কেউ যেন দেশকে পিছিয়ে ঠেলে দিতে না পারে; দেশকে যেন রাজাকারদের দেশে পরিণত করতে না পারে, সেজন্য সতর্ক থাকুন।”
বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “যেখানে সকল বিশ্বাসের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে।”
বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতির কথা আবারো উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
“আমি কখনো নিজের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করি না। বরং চিন্তা করি দেশ ও দেশের মানুষের উন্নতির জন্য আমি কী করতে পারি; উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলাসহ দেশের স্বাধীনতা পেয়েছে। “আর এটা হয়েছে যেহেতু আওয়ামী লীগ জনবান্ধব দল;” যোগ করেন তিনি
“আওয়ামী লীগ আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের দল আছে বলেই কোভিড-১৯ মহামারীর মতো বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি;” বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের আহবান
অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে অর্থহীন উল্লেখ করে, এই প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রয়ারি) মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে এক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, অস্ত্রের পেছনে ব্যাপক হারে খরচ না করে সেই অর্থে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার জন্য তহবিলের আকার ও পরিধি আরো বাড়ানো যেতে পারে।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোট ছয়টি পরামর্শ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “অর্থহীন অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে এবং এর বদলে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহের জন্য সম্পদের সংস্থান করা দরকার।”
“আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মানবতার অস্তিত্ব যখন হুমকির মুখে পড়বে, তখন সংকীর্ণ স্বার্থ রক্ষার পথ অনুসরণ করলে তা কোনো সুফল বয়ে আনবে না;” উল্লেখ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।