অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বিরোধী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, যেহেতু তাঁর মক্কেলরা তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলায় জামিন পেয়েছেন, তাই জেল থেকে বের হতে আর কোনো বাধা নেই।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়।

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহসমাবেশ এবং এর পরের সংঘর্ষ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দেওয়া হয়।

এর আগে ১০টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তাঁর জামিন বুধবার মঞ্জুর করেন আদালত।

অন্যদিকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এর আগে তিনি ৯টি মামলায় জামিন পান। বুধবার তিনিও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় জামিন পেয়েছেন।

সর্বশেষ এ বছরের ১৭ জানুয়ারি ঢাকার পল্টন থানায় হওয়া একটি মামলায় জামিন পান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এর আগে ১০ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে ৯টি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন মির্জা ফখরুল।

২০২৩ সালের ২৯ অক্টোবর গ্রেপ্তার হয়ে সেদিন থেকে সাড়ে তিন মাস সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন মির্জা ফখরুল।

২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় তাঁকে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

XS
SM
MD
LG