অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ এবং বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) একসঙ্গে কাজ করবে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রয়ারি) বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। পরে, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
সাখাওয়াত মুন জানান যে শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে।
সাখাওয়াত মুন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “দেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে। একটা সময় ছিলো, যখন দেশ সামরিক শাসনের অধীনে নিমজ্জিত ছিলো।”
শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে তার অন্যতম শক্তি হিসেবে অভিহিত করেন। বলেন, তার সরকার সব সময় গ্রামীণ উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়েছে।
সাখাওয়াত মুন আরো জানান, শেখ হাসিনা বলেছেন যে তিনি অসংখ্য গ্রাম পরিদর্শন করেছেন এবং জনগণকে খাদ্য উৎপাদন ছাড়া এক ইঞ্চি আবাদি জমিও ফেলে না রাখার জন্য উৎসাহিত করেছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমি সবাইকে অনুরোধ করেছি, যেভাবেই হোক খাদ্য উৎপাদনে সম্পৃক্ত হতে হবে;” জানান সাখাওয়াত মুন।
সাক্ষাৎ কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে। তিনি আরো বলেছেন, “ভারত সবসময় বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ।”
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান বিমসটেক মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে। বিমসটেকের সঙ্গে বাংলাদেশের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিমসটেক মহাসচিব।
“বাংলাদেশের সঙ্গে বিমসটেকের চমৎকার সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে;” উল্লেখ করেন ইন্দ্র মণি পান্ডে।তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায় থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রস্তাবিত বিমসটেক সচিবালয় ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।
পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের পর, বাংলাদেশ যখন সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে, তখন বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন ফোরামের কার্যক্রম আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
বিমসটেক প্রক্রিয়াকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।