বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের জন্য পাঁচ বছরে ১,৫০০ কোটি ডলার সংগ্রহের চেষ্টা করবে। এ কথা জানিয়েছেন দেশটির পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট এর চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়ের নেতৃত্বে, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট ও ব্লুমবার্গ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল পরিবেশমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করে। এসময় সাবের হোসেন চৌধুরী এ কথা জানান।
মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসরণ করে পরিবেশ মন্ত্রণালয় একটি সুনির্দিষ্ট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তৈরি করবে বলে জানান সাবের হোসেন চৌধুরী।
বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রী জানান, একটি সহনশীল, জলবায়ু-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি কর্মকাণ্ডকে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রাধিকার দেয়া হবে; যা হবে সামঞ্জস্যপূর্ণ, নিশ্চিত করবে সর্বোচ্চ প্রভাব।
“নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সর্বসাম্প্রতিক উদ্ভাবন এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করবো;” বলেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি জানান, সমাধানগুলো প্রাসঙ্গিক হওয়ার পাশাপাশি, বাংলাদেশের চাহিদা এবং ল্যান্ডস্কেপ অনুযায়ী তৈরি করা হবে। “এই বিষয়ে সব পরামর্শকে স্বাগত জানানো হবে;” তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় উভয় পক্ষ জ্ঞান বিনিময় এবং অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে নীতি বাস্তবায়নসহ সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ইচ্ছার বিষয়টি তুলে ধরেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
জলবায়ু সমস্যা সমাধান এবং টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে, বাংলাদেশের পরিবেশ মন্ত্রণালয়, ক্লাইমেট পার্লামেন্ট এবং ব্লুমবার্গ ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব বজায় রাখার অঙ্গীকার করা হয় মতবিনিময় সভায়।