নির্বাচন বিরোধী তৎপরতার জবাব দিতে, ৭ জানুয়ারি দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাটে, এক পথসভায় তিনি এ আহবান জানান।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের দল অস্ত্রবাজি, গোলাবাজিতে বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের অস্ত্র হলো জনগণ।”
ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তাদের দল বিজয়ী হবে।
তিনি বলেন, “বিদেশিরা নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দিলে আমরা শুনবো। কিন্তু, বিএনপির সুরে উসকানি দিলে মেনে নেবো না।”
বাধা দিয়ে নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঈন খান: আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) অভিযোগ করেছেন যে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগ সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না।
জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ অভিযোগ করেন তিনি।
মঈন খান বলেন, “বাংলাদেশে এখন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে। তাই তারা ভয় পাচ্ছে; তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করছে না।”
“ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করলে সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভয় পেতো না;” যোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, “এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করলে দেখবেন আগামী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ আবার আনন্দের সঙ্গে আপনাদের ভোট দেবে।”
বাংলাদেশের জনগণের চরিত্র ও মনস্তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বুঝে রাজনীতি করার জন্য ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানান মঈন খান।
তিনি মনে করেন, সংকট নিরসনে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ করার এবং বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুঁজে বের করার এখনো সময় আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, “আপনারা সরকারে আছেন বলে আমি আপনাদের অনুরোধ করছি। এই বিষয়ে মূল সিদ্ধান্ত নেয়া আপনাদের দায়িত্ব।”