বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায়, সারাদেশে ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে মোটরসাইকেল চলাচল তিন দিনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।
এছাড়া, ৬ জানুয়ারি মধ্যরাত থেকে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত, ভোটকেন্দ্রে ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী নৌকা ব্যতীত) চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
তবে, জাতীয় মহাসড়কে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, অনুমোদিত পর্যবেক্ষক ও নির্বাচনী এজেন্টের ক্ষেত্রেও এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।
অনুমোদিত নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও এজেন্টদের অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের সরবরাহ করা স্টিকার লাগাতে হবে।
বান্দরবানে হেলিকপ্টার
নির্বাচনে, পার্বত্য জেলা বান্দরবানের ১২টি ভোটকেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান।
এই আসনে ১৮২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ কেন্দ্র ৫১টি এবং গুরুত্বপূর্ণ (ঝঁকিপূর্ণ) কেন্দ্র ১৩১টি।
রির্টানিং অফিসার আরো জানান, দুর্গম ও যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক না থাকায়, ১২টি কেন্দ্রে হেলিকপ্টার ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এই ১২ কেন্দ্রের মধ্যে, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১টি, রুমা উপজেলায় ৩টি, থানচি উপজেলায় ৭টি ও আলীকদম উপজেলায় ১টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
রির্টানিং অফিসার জানান, ইতোমধ্যে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে সাত উপজেলার ইউএনও রিপোর্ট করেছেন। পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, বান্দরবানের সাত উপজেলার দুই পৌরসভা ও ৩৪টি ইউনিয়নে, ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৯ জন। আর, ১৮২টি কেন্দ্রে ভোটকক্ষ থাকবে ৭২৭টি।