প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায়, ''মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া অগ্নিসন্ত্রাসের'' বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) ''লুটেরা, খুনি, দুর্নীতিবাজ ও এতিমদের টাকা আত্মসাৎকারী'' আখ্যায়িত করে আক্রমণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করার জন্য তারাই মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারছে।
সিলেটর জনসভা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জনগণকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা সমবেত জনতাকে জিজ্ঞেস করেন, “আপনারা কি আমাদের প্রার্থীদের (আওয়ামী লীগের) ভোট দেবেন? আপনারা হাত উচু করুন এবং আমাকে ওয়াদা দিন।”
লন্ডনে বসে হুকুম
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র জনগণের জীবন কেড়ে নিতে চায় এবং জনগণকে ভোট দিতে বাধা দিয়ে নির্বাচন বানচাল করতে চায়।
তিনি বলেন, তারা এত সাহস কোথা থেকে পায়? লন্ডনে একজন অপরাধী বসে হুকুম দেয় এবং কিছু লোক এখানে আগুন জ্বালায়, ... সেই আগুনেই তাদের হাত পুড়ে যাবে।
বিএনপি ও জামায়াতের নিন্দা করে শেখ হাসিনা বলেন, “তারা ভেবেছিল তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে সরকার জড়িয়ে পড়বে।”
তিনি বলেন, “তারা ভেবেছিল কিছু অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরকারের পতন ঘটবে। ব্যাপারটা খুব একটা সহজ নয়।”
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার ফলে জনগণ সুফল পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সোনার বাংলা গড়ে তোলা এবং সে লক্ষ্যে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
মাজার জিয়ারত
শেখ হাসিনা বলেন, তার হারানোর কিছু নেই, কারণ তিনি বাবা, মা, ভাইসহ সবকিছু হারিয়েছেন। “আমি এবং আমার একমাত্র ছোট বোন বেঁচে গিয়েছিলাম। সবকিছু হারিয়ে এবং আমার ছোট সন্তানদের তাদের মাতৃপ্রেম থেকে বঞ্চিত করে আমি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম। শুধু আমার বাবার স্বপ্ন পূরণের জন্য। স্বপ্নটি হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়ে তোলা।”
এর আগে শেখ হাসিনা হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহ পরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত করে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নির্বাচনের জন্য তাঁর দলের প্রচারণা শুরু করেন।
তিনি প্রথমে হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন। সেখানে তিনি কিছু সময় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
পরে তিনি হজরত শাহ পরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন। সেখানে তিনি পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন এবং ফাতেহা ও মোনাজাত করেন।