অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিএনপিঃ আদালতে ৩১জন নেতা-কর্মীর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড


প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৩১ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ঢাকার দুটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, পুলিশের দায়ের করা পৃথক নাশকতার মামলায়, তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ দেয়। এর মধ্যে, দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ১০ বছর আগে। আর, একটি মামলা দায়ের করা হয় পাঁচ বছর আগে।

রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও থানায়, দশ বছর আগে দায়ের করা নাশকতার মামলায়, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির ১০ নেতা-কর্মীকে পৃথক দুই ধারায় তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এ রায় দেন। অন্য দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন; আনোয়ারুজ্জামান ওরফে আনোয়ার কমিশনার, লুৎফর রহমান, শাহীন ওরফে গান্ডু শাহীন, তরিকুল ইসলাম ওরফে ঝন্টু, আমিনুল ইসলাম জাকির, গোলাম কিবরিয়া শিমুল, বিল্লাল হোসেন, শহিদুল ইসলাম ও জাকির হোসেন।

একটি ধারায়, তাদের ৬ মাস এবং অপর ধারায় দুই বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের মধ্যে সাইফুল আলম নীরব ও আনোয়ার কমিশনার রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন।

রায় শেষে, সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। পলাতক ৮ জনের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

জানা যায়, ট্যাক্সিচালক বাবুল ২০১৩ সালের ২৬ মার্চ রাত সাড়ে ৭টার দিকে মহাখালী থেকে তিনজন যাত্রী নিয়ে কারওয়ান বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। রাত ৮টার দিকে ওয়াসা ভবনের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন গাড়ি থামিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।

এ ঘটনায়, তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। তদন্ত শেষে, তেজগাঁও থানার সাব-ইন্সপেক্টর মাহবুবুর রহমান ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

এদিকে, ১০ বছর আগে পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায়, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম মজনুসহ ১০ জনের দুই বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শেখ শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা বাকি ব্যক্তিরা হলেন; সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, যুবদল নেতা খন্দকার এনামুল হক এনাম, মো. এরশাদুল, জুনাইদ, আব্দুল কাদের খন্দকার, মো. দুলাল হোসেন, মো. হুমায়ুন কবির রওশন ও মিজানুর রহমান টিপু।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায়, এই মামলা থেকে ৪৫ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়।

এসময় তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করেন। এছাড়া, তারা গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।

অন্যদিকে, পাঁচ বছর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় বিএনপির ১১ নেতা-কর্মীকে পৃথক তিনটি ধারায় সাড়ে চার বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন; মামুন চৌধুরী, বিল্লাল হোসেন, অসীম ওরফে অসীম আকরাম, নুরুল ওরফে নূর হোসেন, শরীফ উদ্দিন ওরফে মামুন, আমিনুল ইসলাম, অহিদুল ইসলাম শাহীন, রফিকুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান প্রান্ত, জয়নাল ও মীর মোহাম্মদ স্বপন।

একটি ধারায় তাদের ৬ মাস এবং অপর দুই ধারায়, দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে নাশকতার অভিযোগে গুলশান থানায় মামলাটি করা হয়।

XS
SM
MD
LG