বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশে বলেছেন, “বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন করতে বাধা নেই।”
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন; আর, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ জানান, “রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় আদালত বলেছেন, সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেন অনুযায়ী নির্বাচন করতে বাধা নেই।”
গত ১৫ নভেম্বর আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
গত ২৯ নভেম্বর, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই তফসিল স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়।
জাতীয় সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় ১৫ নভেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে রিটে রুল চাওয়া হয়। রুল জারি হলে, তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত রাখার আরজি জানানো হয় রিটে।
রুল শুনানি বা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, আগের নিয়মে, অর্থাৎ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আদেশও চাওয়া হয় রিট আবেদনে।
রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ জানান, “একাদশ জাতীয় সংসদ এখনো বহাল। পাঁচ বছরের মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। এই সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হলে তখন দুটি সংসদ অস্তিত্বশীল থাকবে।”
তিনি আরো জানান, “অর্থাৎ, এমন পরিস্থিতিতে সংসদ সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০০। অথচ, সংবিধানের ৬৫ (২) অনুচ্ছেদে আছে যে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী নির্বাচিত ৩০০ সদস্য নিয়ে সংসদ গঠিত হবে; এসব যুক্তিতে রিট আবেদন করা হয়।”
এই রিটের ওপর গত ৪ ডিসেম্বর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।