বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ বাংলাদেশকে মানবাধিকারবিষয়ক ৩০১টি সুপারিশ করেছে বিশ্বের ১১০টি দেশ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ন্থানীয় সময় রাতে জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) বা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের ইউপিআর প্রতিবেদনের খসড়া গৃহীত হয়েছে।
খসড়ায় অনেক দেশ থেকে একই বিষয়ে একই ধরনের সুপারিশ আসায় সংখ্যাটি বড় মনে হলেও প্রকৃত সুপারিশের সংখ্যা কিছুটা কম।
শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করে নাগরিকদের ভোট দেওয়ার এবং তাদের সরকার বেছে নেওয়ার অধিকার রক্ষা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সুপারিশ করেছে।
যুক্তরাজ্য সুশীল সমাজ, মানবাধিকার রক্ষাকারী এবং গণমাধ্যমের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বচ্ছ পরিবেশ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে। যাতে তারা প্রতিক্রিয়ার ভয় ছাড়াই মত প্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতার অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জেনেভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে স্থায়ী প্রতিনিধি এম সুফিউর রহমান ১২টি দেশসহ সকল দেশকে ধন্যবাদ জানান, যারা এসব প্রশ্ন পাঠিয়েছে এবং প্রক্রিয়াটিতে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশ সব সুপারিশ 'সতর্কতার সঙ্গে যাচাই' করবে এবং ফেব্রুয়ারিতে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
ইউপিআর বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি সোমবার বলেন, মোট ১১১টি দেশ বৈঠকে অংশ নিয়েছে এবং ৯০ শতাংশ দেশ মানবাধিকার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে।
তিনি বলেন, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো দেশগুলোও বাংলাদেশের বড় ধরনের সমালোচনা করেনি। বরং তারা কিছু গঠনমূলক সুপারিশ নিয়ে এসেছে।
আনিসুল হক বলেন, তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ মানবাধিকার ইস্যুতে সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানবাধিকার কাউন্সিলের সর্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনা বাংলাদেশের জন্য কেবল শব্দে মানবাধিকারের প্রতি তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার সুযোগ নয়, মানবাধিকার রক্ষাকারী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা বন্ধে জরুরি ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণেরও সুযোগ।