বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীকে তলব করেছেন আপিল বিভাগ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি বিএনপিপন্থী ওই সাত আইনজীবীকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সাত আইনজীবী হলেন—জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি আইনজীবী আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক আইনজীবী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
তবে আদালত অবমাননার অভিযোগে স্বেচ্ছায় পক্ষভুক্ত হতে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মহসিন রশীদের আবেদন গ্রহণ করেননি সর্বোচ্চ আদালত।
এ সময় আদালতে অবমাননার অভিযোগের আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যূথী।
উল্লেখ্য, এ বছরের ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় সংবিধান অনুসারে বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে বক্তব্য দেওয়া আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। এ ছাড়া ওই দুজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী আইনজীবী নেতারা মিছিল-সমাবেশও করেন।
এরপর দুই বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে ২৭ অগাস্ট ওই সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে দেওয়া বক্তব্যের কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করে ২৯ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা আবেদনটি করেন।
আবেদনে বিচারপতিদের নিয়ে ব্যানার, লিফলেটসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিল ও অবস্থানের ছবি যুক্ত করা হয়।