অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত ভারতের দিল্লিতে সাময়িক স্বস্তি আনল বৃষ্টি


বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত ভারতের দিল্লিতে সাময়িক স্বস্তি আনল বৃষ্টি
বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত ভারতের দিল্লিতে সাময়িক স্বস্তি আনল বৃষ্টি

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি। মারাত্মক দূষণে বিপর্যস্ত দিল্লিতে অবশেষে কিছটা স্বস্তি এনে বৃষ্টি নামল। বৃহস্পতিবার মাঝরাত থেকে শুক্রবার সকাল অবধি কয়েক পশলা বৃষ্টিতে দিল্লিতের দূষণের মেঘ অনেকটাই কেটেছে। তবে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ জানিয়েছে, দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকার বাতাসের গুণমান এখনও খারাপের দিকেই। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) এখনও চারশোর বেশিই আছে।

দিল্লিতে বায়ুদূষণের কারণে বাতাসের গুণগত মান, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের গ্রাফ ক্রমেই নিম্নমুখী। ধোঁয়াশায় বিপর্যস্ত দিল্লিবাসী। সরকার ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে স্কুল-কলেজ। বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা ও দূষিত কণার পরিমাণের কারণে এখন এশিয়ার অন্যতম দূষিত শহর বলা হচ্ছে দিল্লিকে।

দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ দিল্লির বাতাসের গুণগত মান অর্থাৎ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ছিল ৩৭৬। বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় দুপুরবেলা ২টো নাগাদ বাতাসের গুণমান ছিল ৪৫২। দিল্লির লোধি রোড, জাহাঙ্গিরপুরী এবং ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায় এআই যথাক্রমে ৪৩৮, ৪৯১, ৪৮৬ ও ৪৭৩। আনন্দ বিহার (৪৩৬), রোহিণী (৪২৯) এবং পঞ্জাবি বাগ (৪২২) এলাকার পরিস্থিতিও ভয়াবহ। পার্শ্ববর্তী রাজ্য পাঞ্জাব, হরিয়াণার ফসল পোড়া ধোঁয়া ও যানবাহনের ধোঁয়ায় বেলা বাড়লেই বাতাসে ভাসমান দূষিত অ্যারোসল কণা, ধূলিকণা ও গ্রিন হাউস গ্যাসের মাত্রা বাড়ছে।

বৃষ্টিতে দূষণের মেঘ খানিক কাটলেও বাতাসে ভাসমান অ্যারোসল কণার মাত্রা বেশি। দূষণ কমাতে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর কথা প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখে আগামী ২০-২১ নভেম্বর দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো হবে। কৃত্রিম বৃষ্টির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে আবহাওয়ায় খানিকটা রদবদল করা হয়। সে জন্য ড্রোনের মাধ্যমে মেঘের উপর সিলভার আইয়োডাইডের মতো রাসায়নিক অথবা ড্রাই আইস ছড়িয়ে দেন গবেষকরা যাতে সেই মেঘের স্তর বর্ষার কালো মেঘের মতো গাঢ় হয়। এই মেঘের স্তর জমা করা হয় আকাশে। বাতাসে যে সামান্য পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকে তা এই মেঘে ছড়ানো রাসায়নিক কণার চারপাশে ঘণীভূত হয়ে ছোট ছোট বরফ দানা তৈরি করে। তারপর যেভাবে মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় তেমনভাবেই এই বরফ দানা বাতাসের সংস্পর্ষে এসে ঘণীভূত হয়ে বৃষ্টির আকারে নেমে আসে। এই পদ্ধতিকে ‘নিউক্লিয়েশন’ বলা হয়।

XS
SM
MD
LG