অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্ব গড়া ছিলো জাইকার প্রধান লক্ষ্য: ইচিগুচি তোমোহিদে


বাংলাদেশের সঙ্গে জাইকার অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে সাউথ এশিয়া ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুয়ুকি। ৬ নভেম্বর, ২০২৩।
বাংলাদেশের সঙ্গে জাইকার অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে সাউথ এশিয়া ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুয়ুকি। ৬ নভেম্বর, ২০২৩।

বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। অংশীদারিত্বের এই মাইলফলককে স্মরণীয় করে রাখতে সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, “বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে শক্তিশালী বন্ধুত্ব গড়ে তোলা ছিলো জাইকার লক্ষ্য।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; জাইকা সদর দপ্তরের সাউথ এশিয়া ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুয়ুকি এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব শরিফা খান। উপস্থিত ছিলেন জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে।

বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার জাপান। জাইকার মাধ্যমে গত পাঁচ দশকে এই অংশীদারিত্ব আরো বিকশিত ও শক্তিশালী হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি, বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্রকে বাস্তবে রূপদান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বের জন্য আদর্শ উদাহরণ জাপান। জাইকা ও জাপানের সহযোগিতায় আমাদের কমিউনিটির বিকাশ ও উন্নয়ন সাধিত হবে। জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু; এই অংশীদারিত্ব আমাদের দেশের লক্ষ্যপূরণে সহায়তা করবে বলে আমরা আশাবাদী।”

বাংলাদেশ ও জাপানের অসামান্য বন্ধুত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইচিগুচি তোমোহিদে। তিনি বলেন, “গত ৫০ বছরের এই যাত্রার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে টেকনিকেল কো-অপারেশন, রেয়াতি ঋণ (কনসেশনাল লোন), অনুদান সহায়তা (গ্র্যান্ট এইড), স্বেচ্ছাসেবী ও বিভিন্ন পদ্ধতিতে বহু খাতে সহযোগিতা করেছে জাইকা।”

তিনি আরো বলেন, “সবসময় সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার শক্তিশালী বন্ধুত্ব গড়ে তোলাই ছিলো জাইকার লক্ষ্য।”

জাইকা সদরদপ্তরের সাউথ এশিয়া ডিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ইতো তেরুয়ুকি বলেন, ‘জাইকা সর্বমোট তিন ট্রিলিয়ন জাপানি ইয়েনেরও বেশি সহযোগিতা প্রদান করেছে, যার অর্থমূল্য প্রায় ২০০০ কোটি ডলারের বেশি। বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে আমাদের শীর্ষ তিন ঋণগ্রহীতা দেশের একটি।”

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব শরিফা খান বলেন, “গত ৫০ বছরের মধ্যে জাপানের সহযোগিতা বাংলাদেশের সর্বত্র পৌঁছে গেছে। দেশের ১৫টি খাতের সবগুলোতে জাপানের অংশগ্রহণ রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী জাপান।”

XS
SM
MD
LG